শুক্রবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা
অমর একুশে ফেব্রুয়ারি-২০২২

শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে

নাসিমুল হুদা, বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক

শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি -বাংলাদেশ প্রতিদিন

যথাযোগ্য মর্যাদায় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে অমর একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। শহীদ মিনারের মূল বেদিসহ পুরো প্রাঙ্গণ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করাসহ সৌন্দর্যবর্ধন ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। একুশে ফেব্রুয়ারিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের জনসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের যাবতীয় ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব পালন করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এ বছরও দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদা এবং সুষ্ঠুভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে গত ২৩ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটিসহ ১৪টি উপকমিটি গঠন করা হয়। ইতোমধ্যে কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি ও উপকমিটিগুলোর যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিকে, প্রস্তুতির বিষয়ে জানাতে আজ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেছেন বলে জানা গেছে। কভিড-১৯ উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনায় এ বছরও কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আগতদের বাধ্যতামূলক করোনা টিকা সনদ সঙ্গে রাখতে হবে ও মাস্ক পরিধান করতে হবে। এ ছাড়া, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ও যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে প্রতিটি সংগঠন/প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ পাঁচজন প্রতিনিধি ও ব্যক্তিপর্যায়ে একসঙ্গে সর্বোচ্চ দুজন শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে পারবেন। গতকাল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গিয়ে সরেজমিন দেখা যায়, রং মিস্ত্রিরা শহীদ মিনারের মূল বেদিসহ অন্যান্য অংশের ধোয়ামোছা ও নতুন করে রং করার কাজ করছেন। এ ছাড়া প্রয়োজনীয় এলাকায় লাইটিং ও সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর কাজও চলছে। প্রস্তুতির বিষয়ে অমর একুশে উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রাব্বানী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতা এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে এ বছর অমর একুশে পালনের জন্য রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে আমরাও কার্যক্রম গ্রহণ করেছি।

১৪টি প্রস্তুতি কমিটি যার যার অবস্থান থেকে কাজ করছে। প্রস্তুতি সম্পন্ন হওয়ার পথে। এখন শেষ মুহূর্তে কোথাও বাড়তি প্রস্তুতির প্রয়োজন হলে তা দেখা হচ্ছে। 

তিনি বলেন, প্রস্তুতি ও নিরাপত্তার বিষয়ে ইতোমধ্যে দুটি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আরও একটি সভার পরিকল্পনা আছে। নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ-ডিএমপি ও র‌্যাব দায়িত্ব পালন করবে। আমরা কভিড পরিস্থিতিকেও নিরাপত্তা ঝুঁকি হিসেবে নিচ্ছি। তাই ক্যাম্পাসে যারা আসবেন, তারা টিকা কার্ড নিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আসবেন। আগতদের দুজন ও পাঁচজনের নিয়মটি মেনে চলতেও তিনি অনুরোধ জানান।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর