শুক্রবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

সরকারের শিশু পরিবার থেকে পালাচ্ছে শিশুরা

নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকার পরিচালিত শিশু পরিবারগুলো পরিচালনায় হতাশাজনক চিত্র পাওয়া গেছে। সমাজ সেবা অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, করোনাকালে সরকারি খরচে পরিচালিত এসব শিশু পরিবার থেকে ২ হাজার ৯১৭ জন শিশু পালিয়ে গেছে। এ ছাড়া ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার পর শিশু পরিবার থেকে বেরিয়ে ৯৮ শতাংশ ছেলে-মেয়ে তাদের কারিগরি শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কোনো কাজে লাগাতে পারছে না। এ জন্য কারিগরি শিক্ষাখাতে প্রাপ্ত বরাদ্দ কম থাকা যথেষ্ট প্রশিক্ষক না থাকাকে দায়ী করা হয়েছে।

সংসদ ভবনে গতকাল অনুষ্ঠিত ‘সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির ১৬তম বৈঠকে উপস্থাপিত কার্যপত্র থেকে এসব তথ্য পাওয়া যায়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, বিশেষ আমন্ত্রণে সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মো. আশরাফ আলী খান, কমিটির সদস্য সাগুপতা ইয়াসমিন, বদরুদ্দোজা মো. ফরহাদ হোসেন, আরমা দত্ত এবং শবনম জাহান বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।

বৈঠকে জানানো হয়, দেশে সরকারি শিশু পরিবার রয়েছে ৮৫টি। এর মধ্যে শূন্য থেকে ছয় বছর বয়সী শিশু প্রতিপালনের জন্য রয়েছে ৬টি। অপর ৭৯টিতে ৬ থেকে ১৮ বছর বয়সী পিতৃহীন ও পিতৃ-মাতৃহীন শিশুদের সরকারি খরচে প্রতিপালন করা হয়। প্রতিটি শিশুর খাবার জন্য মাথাপিছু মাসিক বরাদ্দ ৪ হাজার টাকা। দৈনিক ১৩৩ টাকা ৩৩ পয়সা। কিন্তু তারপর সংসদীয় কমিটিকে জানানো হয়, এসব শিশু পরিবারে ১০ হাজার ৩০০ শিশু প্রতিপালনের সংস্থান থাকলেও সেখানে বর্তমানে ৭ হাজার ৩৮৩ জন ছেলে-মেয়ে নিবাসী আছে।

কমিটি প্রতিষ্ঠানের ২ হাজার ৯১৭টি আসন খালি থাকার কারণ জানতে চাইলে সমাজ সেবা অধিদফতরের মহাপরিচালক শেখ রফিকুল ইসলাম বলেন, করোনার সময়ে অনেক শিশু চলে গেছে। কিন্তু আর ফেরত আসেনি। এ ছাড়া করোনার মধ্যে নতুন কেউ ভর্তি হয়নি, তাই আসন সংখ্যার চেয়ে নিবাসীর সংখ্যা কম।

সংসদের গণসংযোগ বিভাগ জানায়, বৈঠকে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর সঙ্গে সমন্বিতভাবে প্রতিবন্ধিতা শনাক্তকরণ জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করতে সুপারিশ করা হয়। কমিটি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্রের আইনি কাঠামো তৈরি করার সুপারিশ করে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর