শুক্রবার, ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ ০০:০০ টা

মৌলিক আইনগুলো বাংলায় চেয়ে লিগ্যাল নোটিস

নিজস্ব প্রতিবেদক

ফৌজদারি, দেওয়ানিসহ দেশের মৌলিক আইনগুলো বাংলায় প্রণয়ন ও পাঠযোগ্য করে প্রকাশ চেয়ে লিগ্যাল নোটিস পাঠিয়েছেন ১০ জন আইনজীবী। গতকাল আইন সচিব, আইন কমিশনের চেয়ারম্যান, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে এ নোটিস পাঠানো হয়েছে। ১০ আইনজীবীর পক্ষে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এ নোটিস পাঠান।

নোটিসদাতা ১০ জন আইনজীবী হলেন- মোস্তাফিজুর রহমান, মীর ওসমান বিন নাসিম, মো. আসাদ উদ্দিন, মো. মুজাহিদুল ইসলাম, জোবায়েদুর রহমান, মো. আবদুস সবুর দেওয়ান, আল রেজা মো. আমির, আবদুল্লাহ হিল মারুফ ফাহিম, জি এম মুজাহিদুর রহমান ও মো. জহিরুল ইসলাম।

পরে শিশির মনির জানান, দেশের দেওয়ানি, ফৌজদারি, দন্ডবিধি, সাক্ষ্য ও তামাদি আইনের মতো মৌলিক আইনগুলোর বাংলায় অনূদিত নির্ভরযোগ্য পাঠ প্রণয়ন ও প্রকাশ করতে এ নোটিস পাঠানো হয়েছে। নোটিসে বলা হয়েছে- আমাদের সংবিধানের ৩নং অনুচ্ছেদে ‘বাংলা’কে একমাত্র রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। এ অনুচ্ছেদের বিধানকে পূর্ণরূপে কার্যকর করার উদ্দেশ্যে ১৯৮৭ সালে বাংলা ভাষা প্রচলন আইন প্রণয়ন করা হয়। সে আইনের ৩ ধারা অনুযায়ী সর্বত্র তথা সরকারি অফিস, আদালত, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে সব কার্যাবলি অবশ্যই বাংলায় হতে হবে। এ আইনি বিধান সত্ত্বেও দেশের আদালতের অধিকাংশ রায় ও আদেশ এবং অন্যান্য কার্যাবলি ইংরেজিতে প্রদান করা হয়। নোটিসে আরও বলা হয়- আদালতে মামলার বিভিন্ন পর্যায়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে দেওয়ানি কার্যবিধি, ফৌজদারি কার্যবিধি, দন্ডবিধি, সাক্ষ্য আইন, চুক্তি আইন, তামাদি আইন ও সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের মতো মৌলিক আইনগুলোর গুরুত্ব ও ব্যবহার সর্বাধিক। কিন্তু এখন পর্যন্ত এসব মৌলিক আইনের কোনো নির্ভরযোগ্য বাংলা পাঠ প্রণয়ন করা হয়নি। আদালতে বাংলা ভাষা প্রচলনের স্বার্থে এসব আইনের বাংলায় অনূদিত নির্ভরযোগ্য পাঠ প্রণয়ন ও প্রকাশ অত্যাবশ্যক।

তাই মৌলিক আইনগুলোর বাংলায় অনূদিত নির্ভরযোগ্য পাঠ প্রকাশে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের অনুরোধ করছি। অন্যথায় নোটিসদাতারা বিষয়টি নিয়ে উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হতে বাধ্য হবেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর