ফৌজদারি, দেওয়ানিসহ দেশের মৌলিক আইনগুলো বাংলায় প্রণয়ন ও পাঠযোগ্য করে প্রকাশ চেয়ে লিগ্যাল নোটিস পাঠিয়েছেন ১০ জন আইনজীবী। গতকাল আইন সচিব, আইন কমিশনের চেয়ারম্যান, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ও সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে এ নোটিস পাঠানো হয়েছে। ১০ আইনজীবীর পক্ষে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির রেজিস্ট্রি ডাকযোগে এ নোটিস পাঠান।
নোটিসদাতা ১০ জন আইনজীবী হলেন- মোস্তাফিজুর রহমান, মীর ওসমান বিন নাসিম, মো. আসাদ উদ্দিন, মো. মুজাহিদুল ইসলাম, জোবায়েদুর রহমান, মো. আবদুস সবুর দেওয়ান, আল রেজা মো. আমির, আবদুল্লাহ হিল মারুফ ফাহিম, জি এম মুজাহিদুর রহমান ও মো. জহিরুল ইসলাম।
পরে শিশির মনির জানান, দেশের দেওয়ানি, ফৌজদারি, দন্ডবিধি, সাক্ষ্য ও তামাদি আইনের মতো মৌলিক আইনগুলোর বাংলায় অনূদিত নির্ভরযোগ্য পাঠ প্রণয়ন ও প্রকাশ করতে এ নোটিস পাঠানো হয়েছে। নোটিসে বলা হয়েছে- আমাদের সংবিধানের ৩নং অনুচ্ছেদে ‘বাংলা’কে একমাত্র রাষ্ট্রভাষার মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। এ অনুচ্ছেদের বিধানকে পূর্ণরূপে কার্যকর করার উদ্দেশ্যে ১৯৮৭ সালে বাংলা ভাষা প্রচলন আইন প্রণয়ন করা হয়। সে আইনের ৩ ধারা অনুযায়ী সর্বত্র তথা সরকারি অফিস, আদালত, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে সব কার্যাবলি অবশ্যই বাংলায় হতে হবে। এ আইনি বিধান সত্ত্বেও দেশের আদালতের অধিকাংশ রায় ও আদেশ এবং অন্যান্য কার্যাবলি ইংরেজিতে প্রদান করা হয়। নোটিসে আরও বলা হয়- আদালতে মামলার বিভিন্ন পর্যায়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে দেওয়ানি কার্যবিধি, ফৌজদারি কার্যবিধি, দন্ডবিধি, সাক্ষ্য আইন, চুক্তি আইন, তামাদি আইন ও সুনির্দিষ্ট প্রতিকার আইনের মতো মৌলিক আইনগুলোর গুরুত্ব ও ব্যবহার সর্বাধিক। কিন্তু এখন পর্যন্ত এসব মৌলিক আইনের কোনো নির্ভরযোগ্য বাংলা পাঠ প্রণয়ন করা হয়নি। আদালতে বাংলা ভাষা প্রচলনের স্বার্থে এসব আইনের বাংলায় অনূদিত নির্ভরযোগ্য পাঠ প্রণয়ন ও প্রকাশ অত্যাবশ্যক।তাই মৌলিক আইনগুলোর বাংলায় অনূদিত নির্ভরযোগ্য পাঠ প্রকাশে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের অনুরোধ করছি। অন্যথায় নোটিসদাতারা বিষয়টি নিয়ে উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হতে বাধ্য হবেন।