জাতীয় পরিচয়পত্রে (এনআইডি) পর্দার বিধান রক্ষার দাবি জানিয়েছে মহিলা আনজুমান, রাজারবাগ দরবার শরিফ। এ জন্য এনআইডিতে ছবির বদলে আধুনিক ও আইনসম্মত বায়োমেট্রিক পদ্ধতি (যেমন ফিঙ্গারপ্রিন্ট) ব্যবহারের কথা বলেছেন তারা। সেই সঙ্গে পর্দানশিন নারীদের সুবিধার্থে সরকারি অফিসে নারী কর্মকর্তা/কর্মচারী রাখার দাবি। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে মহিলা আনজুমান, রাজারবাগ দরবার শরিফের সদস্য শারমীন ইয়াসমিন এসব দাবি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, দেশে অসংখ্য পর্দানশিন নারী আছেন, যারা পবিত্র কোরআন-সুন্নাহ অনুসারে পরিপূর্ণ পর্দা করার চেষ্টা করেন। তারা কোনো গায়েরে মাহরামকে (যেসব পুরুষের সঙ্গে বিয়ে বৈধ) চেহারা দেখান না। অথচ একজন নাগরিক হিসেবে রাষ্ট্রের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা পেতে জাতীয় পরিচয় পত্রসহ বিভিন্ন কাগজ করার সময় চেহারা খুলে ছবি তুলতে হয়। পরিচয় শনাক্তকরণে আধুনিক যুগে বহুল ব্যবহৃত পদ্ধতি হয়ে উঠেছে বায়োমেট্রিক পদ্ধতি। প্রযুক্তিনির্ভর এ পদ্ধতিতে শনাক্তকরণ প্রায় শতভাগ নির্ভুল।
বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে শনাক্তকরণে কখনই দুই ব্যক্তির মধ্যে মিল পাওয়া যায় না। বয়স বা শারীরিক অবস্থার সঙ্গেও এ পদ্ধতিতে কোনো তারতম্য ঘটে না। তাই, পর্দানশিন নারীদের শনাক্তকরণে ছবি পদ্ধতির বদলে আধুনিক ও আইনসম্মত বায়োমেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহারের দাবি জানাচ্ছি।