বুধবার, ২৩ মার্চ, ২০২২ ০০:০০ টা

তিন উদ্যোগে তাৎক্ষণিক নিরসন হবে যানজট

নগর সংলাপে বক্তারা

নিজস্ব প্রতিবেদক

তিন উদ্যোগে তাৎক্ষণিক নিরসন হবে যানজট

রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে তীব্র যানজটের কারণে নাভিশ্বাস ওঠে নগরবাসীর। ছবিটি গতকাল বনানী থেকে তোলা -বাংলাদেশ প্রতিদিন

রাজধানীর যানজট নিরসনে তাৎক্ষণিক সমাধানে তিন ধরনের উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে পরামর্শ দিয়েছেন নগর পরিকল্পনাবিদরা। তারা বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিডিউল পরিবর্তন করা। এর মধ্যে অর্ধেক শিক্ষার্থী নিয়ে স্কুল পরিচালনা ও স্কুলগামী শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার বন্ধ করে স্কুল বাস চালু করা। আর অফিস শিউিউল পরিবর্তন করা। অর্ধেক কর্মী নিয়ে অফিস কার্যক্রম পরিচালনা করা। অফিস ও শপিংমলগুলো  সাপ্তাহিক বন্ধ দুই দিন করা হলে তাৎক্ষণিক যানজট কিছুটা কমবে।

গতকাল ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট আইপিডি আয়োজিত ‘স্বাভাবিক ঢাকা অসহনীয় যানজট : পরিবহন পরিকল্পনা ও নগর পরিকল্পনার প্রেক্ষিত বিশ্লেষণ ও প্রস্তাবনা’ শীর্ষক নগর সংলাপে বক্তারা এসব কথা বলেন। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনার (ড্যাপ) প্রকল্প পরিচালক মো. আশরাফুল ইসলাম। ইনস্টিটিউট ফর প্ল্যানিং অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের (আইপিডি) উপদেষ্টা পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আকতার মাহমুদ, নির্বাহী পরিচালক পরিকল্পনাবিদ অধ্যাপক ড. আদিল মুহাম্মদ খান,  ও পরিচালক পরিকল্পনাবিদ মোহাম্মদ আরিফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উন্নয়ন) পরিকল্পনাবিদ ড. চৌধুরী মো. জাবের সাদেক, ডব্লিউবিবি ট্রাস্টের সিনিয়র প্রকল্প ব্যবস্থাপক জিয়াউর রহমান ও সেভ দ্য চিলড্রেনের ওবায়দুর রহমান। যানজট নিরসনে বক্তারা কিছু প্রস্তাবনা দিয়েছেন। সেগুলো হলো- বাস রুট রেশনালাইজেশনের উদ্যোগকে অতি দ্রুত নগরের সব রুটে সম্প্রসারিত করা। রুট পারমিটবিহীন বাস সার্ভিসসমূহকে চিহ্নিত করে নগরের সমগ্র বাস সার্ভিসকে শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসা।

 মেট্রো রেল ও নগর পরিবহন বাস সার্ভিসের সঙ্গে অন্যান্য পরিবহনের সমন্বিত নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা। পথচারীদের অগ্রাধিকার দিয়ে পরিবহন পরিকল্পনা করা ও সড়কগুলোর ডিজাইন তৈরি করা। সড়কের প্রশস্ততা বাড়ানো কিংবা অন্য কোনো অবকাঠামো উন্নয়নের কারণ দেখিয়ে কোনোভাবেই ফুটপাথ কমানো কিংবা অকার্যকর না রাখা। গণপরিবহনের পর্যাপ্ত উন্নয়ন সাধনের মাধ্যমে নগরে রাইড শেয়ারিং সার্ভিসের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে আনা। অযান্ত্রিক বাহন পরিকল্পনা প্রণয়ন এর মাধ্যমে রিকশা ও অন্যান্য অযান্ত্রিক বাহনসমূহকে শৃঙ্খলার মধ্যে নিয়ে আসা। সেবা সংস্থাগুলোর উন্নয়ন ও সংস্কার কাজের যথাযথ সমন্বয়ের মাধ্যমে বিদ্যমান রাস্তাগুলোর সর্বোচ্চ কার্যকারিতা নিশ্চিত করা। সড়কে অবৈধ পার্কিং বন্ধ করা ও যত্রতত্র পার্কিং কিংবা রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার বিষয়ে যথাযথ আইন প্রয়োগ করা। ঢাকার আশপাশের অঞ্চলসমূহের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ বৃদ্ধি করতে কমিউটার ট্রেন বাড়ানো এবং বৈশ্বিকভাবে কার্যকর লাইট রেল ট্রানজিট (এলআরটি) তৈরির উদ্যোগ নেওয়া।  বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনার প্রস্তাবনা অনুযায়ী, স্কুল জোনিং, কমিউনিটি কার পার্কিং, প্রস্তাবিত অযান্ত্রিক পরিবহন নেটওয়ার্ক, অগ্রাধিকারমূলক বাইসাইকেল লেন প্রস্তাবনাসমূহের বাস্তবায়নের জন্য কার্যকর উদ্যোগ নেওয়া।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর