বুধবার, ২৩ মার্চ, ২০২২ ০০:০০ টা

৯৭ শতাংশ শয্যা ফাঁকা করোনা হাসপাতালে

জয়শ্রী ভাদুড়ী

দেশে ধারাবাহিকভাবে কমছে কভিড-১৯ সংক্রমণের হার। আক্রান্ত কমে আসায় হাসপাতালে কমছে রোগীর চাপ। হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য নির্ধারিত শয্যার ৯৭ শতাংশই ফাঁকা রয়েছে। করোনা আক্রান্ত কমে আসায় ননকভিড রোগী ভর্তিতে জোর দিচ্ছে হাসপাতালগুলো।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের মুখপাত্র ও পরিচালক (রোগনিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. মো. নাজমুল ইসলাম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘দেশে করোনা সংক্রমণ কমে আসা আমাদের জন্য স্বস্তির। হাসপাতালে করোনা রোগীর চাপ কমায় অসংক্রামক রোগীর চিকিৎসা বাড়াতে জোর দেওয়া হচ্ছে। অন্যান্য জরুরি রোগীদের সেবা নিশ্চিত করতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। সেলক্ষ্যে কাজ করছে স্বাস্থ্য অধিদফতরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখা।’

স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, রাজধানীর কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালে ৬৪ শয্যার মধ্যে ৫৭ শয্যা ফাঁকা ছিল। আইসিইউ শয্যা ১৬টির দুটিতে রোগী ভর্তি ছিল। কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের ২৭৫ শয্যার মধ্যে ২২৫ শয্যা ফাঁকা ছিল। ১০টি আইসিইউ শয্যার মধ্যে চারটি খালি। সরকারি কর্মচারী হাসপাতালে ৩৩টি শয্যাই ফাঁকা ছিল, আইসিইউতে একজন রোগী ভর্তি আছেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৪৮৫টি শয্যার মধ্যে ৪২১টিতে রোগী ভর্তি ছিল। ২০টি আইসিইউ-এর মধ্যে ১২টি ফাঁকা ছিল। মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৬০টি শয্যার ৫৭টি ফাঁকা ছিল। আইসিইউ শয্যা ১০টির মধ্যে ৭টি ফাঁকা ছিল। রাজধানীর সরকারি হাসপাতালে ৩ হাজার ১৯৪ শয্যার মধ্যে ৩ হাজার ২৮ শয্যা ফাঁকা ছিল। ৩৫১টি আইসিইউ শয্যার মধ্যে ৩২৪টি ফাঁকা ছিল। রাজধানীর বেসরকারি হাসপাতালে করোনা নির্ধারিত ১ হাজার ৪৫২টি শয্যার মধ্যে ১ হাজার ৪৪৪টি শয্যা ফাঁকা ছিল। বেসরকারি হাসপাতালের মধ্যে স্কয়ার হাসপাতালে একজন, হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে দুজন, গ্রিন লাইফ হাসপাতালে দুজন, পপুলার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজন ভর্তি ছিলেন। বেসরকারি হাসপাতালে ৭২৭ আইসিইউ শয্যার মধ্যে ৬৮৯ শয্যা ফাঁকা ছিল। সারা দেশের হাসপাতালে করোনা রোগীদের জন্য নির্ধারিত শয্যা ছিল ১৩ হাজার ১৯৫টি। এর মধ্যে ১২ হাজার ৮৪২ শয্যা ফাঁকা ছিল। গত সোমবার সারা দেশের ১৩ হাজার ১৯৮টি করোনা নির্ধারিত শয্যার মধ্যে ১২ হাজার ৮৪১টি শয্যা ফাঁকা ছিল। ১ হাজার ২১৬টি শয্যার মধ্যে ১ হাজার ১৩১টি শয্যা ফাঁকা ছিল।

কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. নাজমুল হুদা খান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘করোনা রোগী ভর্তি কমে আসায় গত মাসে ননকভিড রোগীদের জন্য আউটডোর সেবা চালু করা হয়েছে। আগামী ২ এপ্রিল থেকে অন্যান্য রোগে আক্রান্ত রোগী ভর্তি শুরু হবে। অপারেশন থিয়েটার (ওটি) চালুর প্রস্তুতি চলছে, খুব শিগগিরই জরুরি রোগীদের অপারেশনের জন্য ওটি চালু করা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘স্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্দেশনা অনুযায়ী করোনা রোগীদের জন্য নির্দিষ্ট কিছু শয্যা রেখে অন্যান্য রোগী ভর্তি করা হবে। করোনা রোগীদের জন্য দুটি ওয়ার্ড এবং ১৩টি কেবিন নির্দিষ্ট করে রাখা হয়েছে। বাকিগুলোতে ননকভিড রোগীদের সেবা দেওয়া হবে।’

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর