বুধবার, ১১ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

৭২২ কোটি টাকার প্রকল্পে বরাদ্দ ৩০ কোটি

নদীভাঙন রোধ

কাজী শাহেদ, রাজশাহী

রাজশাহীর চারঘাট ও বাঘা উপজেলায় পদ্মা নদীর বাম তীরের স্থাপনা নদীভাঙন থেকে রক্ষা করতে প্রকল্প নেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে সরকার ৭২২ কোটি ২৪ লাখ ২৬ হাজার টাকার প্রকল্পটির অনুমোদন দেয়। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের মেয়াদ শেষ হবে আগামী বছরের ৩০ জুন। কিন্তু এ পর্যন্ত সরকার বরাদ্দ দিয়েছে মাত্র ৩৪ কোটি ৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা। ফলে আগামী বর্ষা মৌসুমেও ঝুঁকিতে থাকছে চারঘাট-বাঘার নদীর তীরবর্তী মানুষ। সেই সঙ্গে আংশিক বাস্তবায়ন হওয়া প্রকল্পটিও অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম শেখ জানান, ৪ দশমিক ৩ কিলোমিটার নদীতীর সংরক্ষণ কাজ বাস্তবায়নে ১০টি প্যাকেজের অনুকূলে ৩২৪ কোটি ৫৭ লাখ টাকার কার্যাদেশ প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়া ৮০০ মিটার নদীতীর প্রতিরক্ষা কাজ পুনর্বাসনে ২৯ কোটি ৫২ লাখ টাকার দরপত্র সুপারিশ করা হয়েছে। ফলে নদীতীর সংরক্ষণ কাজে কার্যাদেশ মূল্য দাঁড়াবে ৩৫৪ কোটি ১০ লাখ টাকা। নদীতীর রক্ষা কাজটি এ বছরই শেষ করতে হবে। তা না হলে আংশিক শেষ হওয়া কাজ নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার শঙ্কা আছে। সেক্ষেত্রে এ খাতে ২১২ কোটি ৪৬ লাখ টাকা প্রয়োজন।

তিনি আরও জানান, ১২ দশমিক ১০ কিলোমিটার নদী ড্রেজিংয়ের জন্য দুটি প্যাকেজে আটটি লটে ২৬২ কোটি ৭০ লাখ টাকার দরপত্র সুপারিশ করা হয়েছে। দরপত্র মূল্যায়ন প্রতিবেদন অনুমোদন হলে এ বছরই ড্রেজিং কাজ শুরু হবে। এক্ষেত্রে ২৫ ভাগ টাকা পরিশোধ করতে হলে ৬৫ দশমিক ৬৭ লাখ টাকা প্রয়োজন। নদীর তীর সংরক্ষণ ও ড্রেজিং কাজ সম্পন্ন করতে দ্রুত প্রকল্পটিতে ২৭৮ কোটি ১৩ লাখ টাকার প্রয়োজন। এ বছর প্রকল্পের বিপরীতে মাত্র ৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ আছে।

কাজের অগ্রগতি ও প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ চেয়ে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে লিখিত পাঠিয়েছে রাজশাহী পাউবো।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম জানান, আগামী বছরের ৩০ জুন কাজের মেয়াদ শেষ হবে। কিন্তু টাকা বরাদ্দ না পাওয়ায় ঠিকাদাররাও কাজ করতে আগ্রহী নন। ফলে যেটুকু কাজ হয়েছে সেটুকু এখন অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে। সোমবার স্থানীয় এমপি ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম এ কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেছেন।

পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম জানান, নদীভাঙনের কারণে রাজশাহীর চারঘাট ও বাঘার বহু এলাকা নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে। সরকার এ অঞ্চলের মানুষের জন্য অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রকল্পটি অনুমোদন দিয়েছে। আর্থিক যে সংকটটি আছে, সেটি যাতে দ্রুত সমাধান করা যায়, সে বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হবে।

সর্বশেষ খবর