বুধবার, ১১ মে, ২০২২ ০০:০০ টা

ইউএনওর গাড়ি চাপায় সাংবাদিক নিহতের ঘটনায় তদন্ত কমিটি

নাটোর প্রতিনিধি

সিংড়ায় নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গাড়িচাপায় সাংবাদিক সোহেল রানা নিহতের ঘটনায় তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সোমবার রাতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রহিমা খাতুনকে প্রধান করে কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- বিআরটি-এর সহকারী পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার রাশেদুজ্জামান এবং সিংড়ার ইউএনও সামিরুল ইসলাম। কমিটিকে আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। এদিকে সাংবাদিক সোহেল রানার মৃত্যুতে তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছে সিংড়া প্রেস ক্লাব। সিংড়া প্রেস ক্লাবের সভাপতি মো. এমরান আলী রানা স্বাক্ষরিত শোকবার্তায় বলা হয়েছে, প্রেস ক্লাবের সব সদস্যকে কালো ব্যাজ পরিধান ও আজ বাদআসর বকুল হায়দার জামে মসজিদে দোয়া মাহফিল। সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের সিংড়া উপজেলার নিংগইন তেলপাম্প এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত সোহেল রানা সিংড়া পৌর শহরের বালুয়া বাসুয়া মহল্লার মৃত আবদুল জলিলের ছেলে। তিনি আগপাড়া শেরকোল বন্দর উচ্চ বিদ্যালয় অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক ছিলেন। তিনি বগুড়া থেকে প্রকাশিত দৈনিক দুরন্ত সংবাদের সিংড়া উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইউএনওর গাড়ি বেপরোয়া গতিতে সিংড়ার দিকে আসছিল। নিংগইন পৌঁছে মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিলে চাকায় পিষ্ট হন সাংবাদিক সোহেল। এ সময় ইউএনওর সরকারি গাড়ি থেকে একজন মহিলা ও চালকসহ তিনজন ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। পরে হাইওয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে গাড়ি দুটি উদ্ধার করে। নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুখময় সরকার বলেন, নলডাঙ্গায় পেট্রোল পাওয়া যাচ্ছিল না, তাই চালককে পাঠিয়েছিলাম সিংড়া থেকে পেট্রোল আনতে। সিংড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম সামিরুল বলেন, জেলা প্রশাসক ঢাকায় আছেন, নাটোরে এলে নিহত সাংবাদিকের স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন। নিহতের পরিবারকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি। জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, কেন সেখানে সরকারি গাড়ি নিয়ে যাওয়া হয়েছিল? চালক কে ছিল? বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালাচ্ছিল কি না? তদন্ত প্রতিবেদন বিশ্লেষণ করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর