বুধবার, ৩১ আগস্ট, ২০২২ ০০:০০ টা

ঢাকার দুই সিটিতে প্রতিদিন ৬ হাজার টনের বেশি বর্জ্য হয় : তাজুল ইসলাম

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঢাকার দুই সিটিতে প্রতিদিন ৬ হাজার টনের বেশি বর্জ্য হয় : তাজুল ইসলাম

স্থানীয় সরকার, পল্পী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনে প্রতিদিন ৬ হাজার টনের বেশি বর্জ্য উৎপাদন হয়। গতকাল জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সংসদ সদস্য দিদারুল আলমের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান। স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের আওতাধীন ৫৪টি ওয়ার্ডে প্রতিদিন প্রায় ৩ হাজার ৪০০ টন বর্জ্য উৎপাদিত হয়। যার মধ্যে প্রায় ৮৪ শতাংশ সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশনে এসে থাকে। পরে তা পরিবেশসম্মত গাড়ির মাধ্যমে নিয়মিত অপসারণ করে ল্যান্ডফিলে ব্যবস্থাপনা করা হয়। বাকি ১৬ শতাংশ ঝাড়ুর বর্জ্য, যা খোলা ট্রাকের মাধ্যমে রাতে অপসারিত হয়ে থাকে। ডিএনসিসির আওতাধীন এলাকায় বর্তমানে ৫৪টি সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশনের মাধ্যমে বর্জ্যব্যবস্থাপনা কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সুবিধাজনক জায়গা না পাওয়ায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক এসটিএস নির্মাণ সম্ভব হচ্ছে না।

 

তবে বর্তমানে আন্ডারগ্রাউন্ড এসটিএস নির্মাণ পরিকল্পনাধীন রয়েছে। এ ছাড়া জনসাধারণের অসচেতনতার কারণে বিভিন্ন অবৈধ কাঁচা বাজারের বর্জ্য, নির্মাণসামগ্রী, গাছের ডাল-পালা ও কল-কারখানার বর্জ্য রাস্তার পাশে ফেলে যায়। যা পর্যায়ক্রমে ডিএনসিসির পক্ষ থেকে নিয়মিত পরিষ্কার করা হয়।

স্থানীয় সরকামন্ত্রী বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে দৈনিক ২ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার টন বর্জ্য সংগ্রহ করে মাতুয়াইল ল্যান্ডফিলে বর্জ্যব্যবস্থাপনা করা হয়। বর্জ্য সংগ্রহের হার ৯০ শতাংশের বেশি। বর্জ্য সংগ্রহ বৃদ্ধি এবং শৃঙ্খলিত বর্জ্যব্যবস্থাপনার জন্য ওয়ার্ডভিত্তিক একটি করে ৭০-৮০ টন ক্ষমতাবিশিষ্ট এসটিএস বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ৭৫টি ওয়ার্ডের মধ্যে ৫৬টি ওয়ার্ডে এসটিএস অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র নির্মাণ পরবর্তী ব্যবহার হচ্ছে। তাছাড়া প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান প্রাইমারি কালেকশন সার্ভিস প্রোভাইডার নিয়োজিত করে বাসাবাড়ি ও দোকান-পাটের আবর্জনা এসটিএস বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্রে জমা করে ল্যান্ডফিলে অপসারণ করা হচ্ছে। ফলে যত্রতত্র স্থানে বিদ্যমান কন্টেইনার এবং খোলা ডাস্টবিন বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে। এতে নগরবাসী দূষণমুক্ত পরিচ্ছন্ন নগরী উপভোগ করছে।

সরকারি দলের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন খানের প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী জানান, ২১ আগস্ট ২০২২ পর্যন্ত ২০ কোটি ৭৮ লাখ ৯২ হাজার ৭৬৭ জনের অনলাইন জন্মনিবন্ধন সম্পন্ন করা হয়েছে। হাতে লেখা জন্মনিবন্ধনগুলো অনলাইনে অ্যান্ট্রি করার সময়ে যেসব সনদে একটি ভাষায় নিবন্ধন করা হয়েছে এবং নামের বানানের ভুল অ্যান্ট্রি করা হয়েছে সেসব জন্মনিবন্ধন সনদ সংশোধনের জন্য সংশ্লিষ্ট নিবন্ধন অফিসে (ইউনিয়ন পরিষদ, পৌরসভা, ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড, সিটি করপোরেশন ও বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ মিশন) অনলাইনে সংশোধন আবেদনের মাধ্যমে সংশোধন করা হয়ে থাকে। এ ছাড়া জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন সিস্টেমেটিক একটি শুদ্ধ তথ্যভা ার হিসেবে প্রস্তুত করার জন্য ডাটা শুদ্ধিকরণ প্রকল্পের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। নুরুন্নবী চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ঢাকা ওয়াসা আগামী ২০৩০ সাল পর্যন্ত রাজধানীকে শতভাগ স্থায়ী স্যুয়ারেজের আওতায় আনার পরিকল্পনা ও উদ্যোগ নিয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর