বুধবার, ১২ অক্টোবর, ২০২২ ০০:০০ টা

বরিশালে বাড়ছে ডেঙ্গুজ্বর আতঙ্কে রোগী ও স্বজনরা

রাহাত খান, বরিশাল

বরিশালে বাড়ছে ডেঙ্গুজ্বর আতঙ্কে রোগী ও স্বজনরা

বরিশালে ডেঙ্গুজ্বরের প্রকোপ বাড়ছে। প্রতিদিন শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন একাধিক রোগী। তবে ডেঙ্গুরোগী চিকিৎসার আলাদা ব্যবস্থা না থাকায় মেডিসিন বিভাগে অন্য রোগীদের পাশে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এতে অন্য রোগীরা চিকিৎসা নিচ্ছেন আতঙ্কের মধ্যে। ডেঙ্গুরোগীদের আলাদা স্থানে চিকিৎসার ব্যবস্থা হলে ভালো হতো বলে জানিয়েছেন মেডিসিন বিশেষজ্ঞরা। তাদের আলাদা চিকিৎসার ব্যবস্থা করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি লেখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল পরিচালক। মেডিসিন বিভাগের রেজিস্টার অনুযায়ী, ১ অক্টোবর সকালে এ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ২১ ডেঙ্গুরোগী। ওইদিন নতুন আরও ১২ জন ভর্তি হন। ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি যান আটজন। দিন শেষে চিকিৎসাধীন ছিলেন ২৫ জন। ২ অক্টোবর ভর্তি হন ১০ জন, ৩ অক্টোবর ১৪ জন, ৪ অক্টোবর আটজন, ৫ অক্টোবর ১১ জন, ৬ অক্টোবর চারজন, ৭ অক্টোবর সর্বাধিক ১৯ জন, ৮ অক্টোবর ১৫ জন, ৯ অক্টোবর ১৭ জন এবং ১০ অক্টোবর ১৮ জন। গতকাল দুপুর পর্যন্ত মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসাধীন ছিলেন ৪৮ জন রোগী। গতকাল দুপুরে শেরেবাংলা হাসপাতালে গিয়ে দেখা গেছে, মেডিসিন বিভাগের চার ইউনিটে চিকিৎসাধীন ৪৮ রোগীর মধ্যে কেউ শয্যায়, কেউ মেঝেতে এবং কেউ চিকিৎসা নিচ্ছেন ওয়ার্ডের বাইরে বারান্দায়। প্রত্যেককে মশারি দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। চিকিৎসাধীন রোগীরা জানান, শুরুর দিকে জ্বর হয়। সঙ্গে বমিভাব। পরে পরীক্ষায় ডেঙ্গু ধরা পড়ে।  হাসপাতালে চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠছেন। প্রতিদিন একবার বড় ডাক্তার আসেন। ছোট ডাক্তার এবং নার্সেরাও খেয়াল রাখেন। অন্য রোগীর স্বজনরা জানান, ডেঙ্গুরোগীর পাশে অন্য রোগী থাকায় সব সময় দুশ্চিন্তা হয়। রোগী কখন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয় সে আতঙ্ক থাকে। ডেঙ্গু আক্রান্তদের একটি নির্দিষ্ট স্থানে চিকিৎসা দিলে দুশ্চিন্তা থাকে না। ভুক্তভোগীরা তাদের আলাদা স্থানে চিকিৎসাদানের দাবি জানান। হাসপাতালের মেডিসিন ইউনিট-৪-এর নার্সিং ইনচার্জ মো. মোহসীন জানান, মেডিসিন বিভাগের চারটি ইউনিটের সবকটিতে ডেঙ্গুরোগী ভর্তি আছেন। খালি থাকা সাপেক্ষ তাদের শয্যা বরাদ্দ দেওয়া হয়। শয্যা না থাকলে মেঝেতে এবং কখনো বারান্দায়ও স্থান দেওয়া হয়। প্রত্যেক রোগীর নিরাপত্তায় মশারি দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালের মেডিসিন ইউনিট-৪-এর প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. জাহিদুল ইসলাম খান বলেন, গত এক মাসেও ডেঙ্গুর কোনো উন্নতি নেই। প্রতিদিনই একাধিক রোগী ভর্তি হচ্ছেন। ডেঙ্গুরোগীর জন্য বিশেষ ব্যবস্থা না থাকায় মেডিসিন ওয়ার্ডে ছড়িয়ে ছিটিয়ে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

শেরেবাংলা হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গুরোগীর সংখ্যা বাড়ছে। তাদের আলাদা স্থানে চিকিৎসা দেওয়ার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর চিঠি দেওয়া হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর