ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ আওয়ামী লীগ চলছে নেতাদের ইচ্ছামতো। গঠনতন্ত্রের কোনো বালাই নেই। ঢাকা দক্ষিণের ৬১ নম্বর ওয়ার্ড কদমতলী আর ৬৪ নম্বর ওয়ার্ড ডেমরা থানার অধীন। দুটি ওয়ার্ডেই সম্মেলন হয়েছে। এর পরও ১৩ অক্টোবর এ দুই ওয়ার্ডের সম্মেলন করতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে যাত্রাবাড়ী থানা। এ দুই ওয়ার্ডে দুবার করে সম্মেলন নিয়ে দ্বিধাদ্বন্দ্বে নেতা-কর্মীরা। তারা বলছেন, ভেঙে পড়েছে সংগঠনের চেইন অব কমান্ড। দলের গঠনতন্ত্র বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে নেতারা যে-যার ইচ্ছামতো সংগঠন পরিচালনা করছেন। এর আগে তারিখ দিয়েও নেতাদের কোন্দলের কারণে সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ্যে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে কেন্দ্র থেকে শোকজ পেয়েছেন। কেউ কেউ বলছেন কী হচ্ছে ঢাকা মহানগরী আওয়ামী লীগে!
ডেমরা-যাত্রাবাড়ী ও কদমতলী থানা আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুই ওয়ার্ড নিয়ে যাত্রাবাড়ী থানার টানাটানির মূলে রয়েছে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীর পক্ষে সমর্থন। ডেমরা-যাত্রাবাড়ী থানা ও কদমতলী থানার ৬১ নম্বর ওয়ার্ডের আংশিক নিয়ে ঢাকা-৫ আসন। বর্তমানে এ আসনের এমপি কাজী মনিরুল হক মনু। যাত্রাবাড়ী থেকে এ আসনে নৌকা পেতে চান যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ মুন্নাসহ একাধিকজন। ওয়ার্ড নেতাদের সঙ্গে রাখতেই মুন্নার আগ্রহে ৬৪ ও ৬১ নম্বর ওয়ার্ডে দুবার সম্মেলন হচ্ছে বলে অভিযোগ একাধিক নেতার। এক ওয়ার্ডে দুবার কেন সম্মেলন? জবাবে হারুনুর রশিদ মুন্না বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘জনসংখ্যার ভিত্তিতে ৬১ ও ৬৪ নম্বর ওয়ার্ড যাত্রাবাড়ী থানার অংশ। তাই আমরা সম্মেলনের তারিখ দিয়েছি। আগে সম্মেলন হয়েছে ঠিক, কমিটি হয়নি। এখন যে সম্মেলন হবে তাতেও কিন্তু কমিটি দেওয়া হবে না। যখন কমিটি গঠন করা হবে তখন বিষয়টি মহানগরী ও কেন্দ্র সমন্বয় করবে।’ ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, ‘এক ওয়ার্ডে একাধিকবার সম্মেলন করার কোনো দরকার নেই। ওয়ার্ডের সাংগঠনিক সীমানা নিয়ে জটিলতা থাকলে ঢাকা মহানগরী আওয়ামী লীগ কেন্দ্রের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে সমাধান দিতে পারেন। সমাধান থানা বা ওয়ার্ড নেতাদের হাতে নয়।’