রাজধানীর পল্লবীতে ব্যবসায় বিনিয়োগ পরবর্তীতে লভ্যাংশ দেওয়ার নামে প্রায় ২ কোটি টাকা নিয়ে উধাও হয়েছে জুম্মন আলিউল সাব্বির ও তার পরিবার। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা ৭ নভেম্বর পল্লবী থানায় একটি মামলা করেছেন। ওই মামলায় জুম্মন ছাড়াও তার বাবা মো. ফেরদাউস ঢালী এবং জুম্মনের ভাই মো. তানভীর হোসেনকে আসামি করা হয়েছে। ভুক্তভোগীরা বলছে, নগদ, বিকাশ, রকেট, ফ্ল্যাক্সি লোড ও তেলের ব্যবসা দেখিয়ে প্রায় ১৫ জনের কাছ থেকে ১ কোটি ৯৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে জুম্মন পরিবার। মামলার সূত্রে জানা গেছে, জুম্মন ও তার পরিবার পল্লবীর সেকশন-১১, ব্লক-সি, রোড-১০, লাইন-১১ এর ৪ নম্বর বাড়িতে থাকেন। তাদের গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালীর গলাচিপা থানার কলাগাছিয়ায়। পল্লবীর ওই বাসার নিচে চাঁদপুর টেলিকম সেন্টার নামে তাদের নগদ, বিকাশ, রকেট, ফ্ল্যাক্সি লোডের ব্যবসা রয়েছে। সেই সুবাধে স্থানীয় বিভিন্ন লোকজনের সঙ্গে তাদের সখ্য গড়ে ওঠে। স্থানীয় সোয়েব আহম্মেদ ওরফে সজলের সঙ্গেও তাদের সখ্য গড়ে উঠেছিল। প্রতারক জুম্মন তাকে দোকান ও তেলের ব্যবসায় বিনিয়োগের ব্যাপারে উৎসাহ দেন। বলেন, যা লভ্যাংশ হবে তার ২০ শতাংশ সজলকে প্রদান করা হবে। পরে সজল ও তার শ্যালক মো. জুবায়ের আহম্মেদ চাঁদপুর টেলিকম সেন্টারে বসে জুম্মন ও তার পরিবারের কাছে ব্যবসায় বিনিয়োগ হিসেবে ৬৭ লাখ টাকা প্রদান করেন। তারাসহ স্থানীয় প্রায় ১৫ জন লোক জুম্মন ও তার পরিবারের কাছে চাঁদপুর টেলিকম সেন্টারে বসে ১ কোটি ৯৩ লাখ ৯০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করেন। স্থানীয়দের এই বিনিয়োগের কথা কেউ কারও বিষয়ে জানত না। পরবর্তীতে ১ নভেম্বর রাতে বাসার ও দোকানের মালামাল নিয়ে জুম্মন ও তার পরিবার পালিয়ে যায়।
তাদের যোগাযোগের সব নম্বর বন্ধ করে দেয়। এরপর থেকে তাদের সঙ্গে ভুক্তভোগীরা আর যোগাযোগ করতে পারেনি।
ভুক্তভোগী সোয়েব আহম্মেদ ওরফে সজল জানান, আমি এবং আমার শ্যালক জুবায়ের মিলে ৬৭ লাখ টাকা ব্যবসায় বিনিয়োগ হিসেবে জুম্মন এবং তার পরিবারের কাছে দিয়েছিলাম। তারা সিকিউরিটি হিসেবে ৬৭ লাখ টাকার বিপরীতে তিনটি ব্যাংকের ৬৭ লাখ টাকার চেক প্রদান করেন। অতি অল্প সময়ে তারা প্রায় প্রতারণার মাধ্যমে দোকান বন্ধ করে গা ঢাকা দেন। এ বিষয়ে আমি বাদী হয়ে জুম্মন ও তার ছোট ভাই এবং তাদের বাবাকে আসামি করে পল্লবী থানায় একটি মামলা করেছি।এ বিষয়ে ডিএমপির পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. পারভেজ ইসলাম বলেন, গুরুত্ব দিয়ে এই মামলার তদন্ত চলছে। মামলার এক নম্বর আসামি জুম্মন আলিউল সাব্বির পালিয়ে দুবাই চলে গেছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। অন্য দুই আসামি জুম্মনের বাবা ফেরদৌস এবং জুম্মনের ভাই তানভীর পলাতক রয়েছে। তাদের ধরতে অভিযান চলছে।