সেন্টমার্টিনে সেই আবদুল গণির জালে এবার ধরা পড়েছে কালো পোয়া মাছ। ২৩ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের মাছটি স্থানীয় নুর আহমেদ সওদাগরের কাছে তিনি ৮৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন। এর আগে ৮ নভেম্বর তার জালে ধরা পড়েছিল দুটি বড় পোয়া মাছ। ওই মাছ দুটি ২ লাখ ৭০ হাজার টাকায় কিনে নেন কক্সবাজারের ব্যবসায়ী ইশরাক সওদাগর। গতকাল সকাল ৮টায় সেন্টমার্টিন পশ্চিম সাগরের নয় বাম শিল এলাকায় মাছটি ধরা পড়ে। আগেরদিন বিকালে জাল ফেলেন গণি। আবদুল গণি বলেন, মাছটি মেয়েলি গঠনের। পুরুষালি ভেবে দাম হেঁকেছিলাম ৩ লাখ টাকা। তিনি আরও বলেন, আমি শুধু কুরাল-পোয়া মাছের জাল ব্যবহার করি। আবদুল গণির বাড়ি সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিমপাড়ায়। ২০১৮ সালের নভেম্বরে তার জালে ধরা পড়ে ৩৪ কেজি ওজনের একটি পোয়া মাছ। সেটি তিনি বিক্রি করেন ১০ লাখ টাকায়। ২০২০ সালের নভেম্বরে গণির জালে আরও একটি পোয়া মাছ ধরা পড়ে। সেটি বিক্রি হয় ৬ লাখ টাকায়।
টেকনাফ উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন বলেন, বড় পোয়া মাছের এয়ার ব্লাডার বা বায়ুথলির কারণে এটির দাম বেশি হয়ে থাকে। পোয়া মাছের এয়ার ব্লাডার দিয়ে বিশেষ ধরনের মেডিকেল ইক্যুইপমেন্ট বা সার্জিক্যাল সুতা তৈরি হয়।