রাজশাহীর মোহনপুরে চার কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ডাকাতি মামলা হয়েছে। কেশরহাট বাজারের এফজে এন্টারপ্রাইজ নামের একটি মোটরসাইকেল শোরুমের ম্যানেজার মাহমুদ ইসলাম এ মামলা করেছেন। চারজনই কেশরহাট পৌরসভার কাউন্সিলর। মামলার এজাহারভুক্ত আসামিরা হলেন, পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের একরামুল হক, ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাবের আলী, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আসলাম হোসেন ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাবুল হোসেন। মামলায় চার কাউন্সিলরসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ ও ১০ জনকে আসামি করা হয়েছে। গত ১ ডিসেম্বর এ মামলা হলেও গতকাল বিষয়টি জানাজানি হয়। মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ২৯ অক্টোবর কেশরহাট বাজারের এফজে এন্টারপ্রাইজের মোটরসাইকেল শোরুমের ম্যানেজার মাহমুদ ইসলাম হিসাব-নিকাশ শেষে রাত পৌনে ১০টার দিকে বাড়ি ফিরছিলেন। শোরুম থেকে বের হয়ে প্রায় ১০০ গজ দূরে সেতুর ওপর পৌঁছালে চার কাউন্সিলর ও তাদের লোকজন মাহমুদের পথ রোধ করে পিস্তল দেখিয়ে চাঁদা দাবি করে। তা দিতে অস্বীকার করলে তাকে পিটিয়ে জখম করে কাছে থাকা ১৭ লাখ ৩০ হাজার টাকাসহ ব্যাগ কেড়ে নেয়। পরে শোরুমের কর্মচারীরা মাহমুদকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
এ ঘটনার পরের দিন এফজে এন্টারপ্রাইজের মালিক জামাল হোসেনকেও হুমকি দেন ওই কাউন্সিলররা। এ ঘটনায় ওইদিন তিনি মোহনপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। এর একদিন পর রাতে আঁধারে চার কাউন্সিলের লোকজন কেশরহাট বাজারের জামাল হোসেনের নির্মাণাধীন ভবনে ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এ ঘটনায় থানায় মামলাও করেন জামাল হোসেন।
পরে চিকিৎসা শেষে গত ১ ডিসেম্বর মাহমুদ হোসেন আদালতে চার কাউন্সিলরসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। ওই মামলা তুলে নিতে কাউন্সিলররা হুমকি দিচ্ছে অভিযোগ এনে গতকাল মোহনপুর থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন মাহমুদ। এরপরই চার কাউন্সিলরের নামে আদালতে ডাকাতি মামলার ঘটনা জানাজানি হয়।৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাবের আলী বলেন, ‘আমিসহ চার কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে ডাকাতির মামলা হয়েছে। আমরা হাই কোর্ট থেকে জামিন নিয়েছি। ঘটনাটি সত্য নাকি মিথ্যা তা সঠিক তদন্ত হলে বেরিয়ে আসবে।’
মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেলিম বাদশাহ বলেন, ‘আদালত মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন। বিষয়টি আমরা গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি। দ্রুত আদালতে প্রতিবেদন পাঠাব।’