দেশে জেলা পর্যায়ে প্রথম স্মার্ট কর্মসংস্থান মেলায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ফ্রিল্যান্সাররা কাজ করে নিজে স্বাবলম্বী হওয়ার পাশাপাশি দেশের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করছেন। পেশা হিসেবে এটি এখনো অত বেশি প্রতিষ্ঠিত হয়নি। যে কারণে ফ্রিল্যান্সারদের নানা প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয়। এ কারণে ফ্রিল্যান্সারদের সরকারিভাবে পরিচয়পত্র দেওয়া হবে। সহসাই দেশে ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্ট গেটওয়ে চালু করা হবে। এতে ফ্রিল্যান্সাররা দ্রুত বিদেশ থেকে সরাসরি তাদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে টাকা আনতে পারবেন। গতকাল দুপুরে বাগেরহাট জেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত স্মার্ট কর্মসংস্থান মেলায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ আরও বলেন, স্মার্ট বাগেরহাট গড়ার জন্য যা যা প্রয়োজন প্রধানমন্ত্রী তা করবেন। বাগেরহাটের শিক্ষিত যুবকদের কর্মসংস্থানের জন্য জেলা সদরে শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং অ্যান্ড ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন করা হবে। সেই সঙ্গে প্রতি উপজেলায় তথ্য-প্রযুক্তি ও ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ সেন্টার করা হবে। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতি বছর কয়েক হাজার দক্ষ ফ্রিল্যান্সার বের হবেন। যারা নিজেরা আয় করার পাশাপাশি অন্যদেরও কর্মসংস্থানের সৃষ্টি করতে পারবেন। বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে স্মার্ট কর্মসংস্থান মেলায় অন্যান্যের মধ্যে বাগেরহাট-২ আসনের এমপি শেখ সারহান নাসের তন্ময়, বাগেরহাট-৪ আসনের এমপি আমিরুল আলম মিলন, বাগেরহাটের পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হক বক্তব্য রাখেন।
বাগেরহাটে দিনব্যাপী স্মার্ট কর্মসংস্থান মেলায় তথ্য-প্রযুক্তিতে ক্যারিয়ার গড়তে দক্ষ বেকার তরুণ-তরুণীদের ছিল উপচে পড়া ভিড়। মেলায় দেশের প্রথম সারির তথ্য-প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোতে ক্যারিয়ার গড়তে অনলাইন মাধ্যমসহ ২৭টি স্টলে সিভি জমা দিয়ে দক্ষ বেকার ১৬০০ তরুণ-তরুণীর আবেদনপত্র যাচাই-বাছাইয়ের পর সংক্ষিপ্ত তালিকা করা হয়। মেলার প্রথম দিন ৪০ জন ফ্রিল্যান্সিং ও অনলাইন উদ্যোক্তা ব্যবসায়ীর প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা ও ১০ জনকে লেপটপ প্রদান করা হয়। মেলায় ফ্রিল্যান্সিং বিষয় নিয়ে সেমিনার ও আলোচনায় অংশ নেন বাগেরহাটের কয়েকশ তরুণ-তরুণী।
পরে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী বাগেরহাট শহরতলির মুনিগঞ্জ ব্রিজের টোল প্লাজার কাছে শেখ কামাল আইটি পার্কের প্রস্তাবিত স্থান পরির্দশন করেন।