শুক্রবার, ১৬ জুন, ২০২৩ ০০:০০ টা

টানা ২৫ বছরের মতো জাতিসংঘে ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজুল্যুশন গৃহীত

যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধি

টানা ২৫ বছরের মতো ১৪ জুন বুধবারও জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে বাংলাদেশ উত্থাপিত ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজুল্যুশন সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আবদুল মুহিত বাংলাদেশের পক্ষে রেজুল্যুশনটি উত্থাপন করেন। প্রস্তাবটি উপস্থাপনের সময় রাষ্ট্রদূত মুহিত বিভিন্ন বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের প্রেক্ষাপটে শান্তির সংস্কৃতির অব্যাহত প্রাসঙ্গিকতা তুলে ধরেন।

উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথমবার সরকারের সময় ১৯৯৯ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে রেজুল্যুশনটি প্রথমবারের মতো গৃহীত হয়। এর পর থেকে প্রতি বছর বাংলাদেশ ‘শান্তির সংস্কৃতি’ রেজুল্যুশনটি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে উপস্থাপন এবং এ বিষয়ে উচ্চপর্যায়ের একটি ফোরামের আয়োজন করে আসছে। গত বছর ৬ সেপ্টেম্বর উচ্চপর্যায়ের এ ফোরাম অনুষ্ঠিত হয়। ন্যায়বিচার, সাম্যতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজব্যবস্থা নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে সারা বিশ্বে শান্তি বিনির্মাণ প্রচেষ্টাকে ত্বরান্বিত করার জন্য শান্তির সংস্কৃতির রূপান্তরমূলক ভূমিকার ওপর আলোকপাত করা হয় এ উচ্চপর্যায়ের ফোরামে।

 

এবারের রেজুল্যুশনটি বিশ্বব্যাপী নানাবিধ ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় জাতিসংঘের কেন্দ্রীয় ভূমিকায় সব সদস্যরাষ্ট্র ও সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ওপর আলোকপাত করে। এটি সর্বস্তরে প্রতিরোধমূলক কূটনীতি ও সংলাপ জোরদার করার ওপর জোর দেয়। সংঘাত প্রতিরোধ ও সমাধানে নারীর অগ্রণী ভূমিকার কথা পুনর্ব্যক্ত করে এটি এ ধরনের প্রক্রিয়ায় নারীদের পূর্ণ, সমান ও অর্থপূর্ণ অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে। এ ছাড়া রেজুল্যুশনটি সহিংসতা ও সংঘাতের অন্তর্নিহিত কারণগুলো চিহ্নিত করে তা মোকাবিলা এবং চলমান ডিজিটাল রূপান্তরের প্রেক্ষাপটে শান্তির সংস্কৃতিকে আরও উন্নীত করার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেয়।

রাষ্ট্রদূত মুহিত বলেন, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে রেজুল্যুশনটির প্রাসঙ্গিকতা বহুগুণে বেড়েছে। এর ফলে জাতিসংঘের প্রধান কার্যাবলিতে ‘শান্তির সংস্কৃতি’ ধারণাটি বৃহত্তর পদচিহ্ন রাখতে পেরেছে এবং একটি প্রভাব সৃষ্টিকারী রেজুলেশনে পরিণত হতে পেরেছে। তিনি বলেন, ‘দ্রুত পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক নিরাপত্তার প্রেক্ষাপটে এটি একটি কার্যকর হাতিয়ার হিসেবে প্রমাণিত, যা বিশ্বশান্তি বজায় রাখতে জাতিসংঘ সনদের দায়বদ্ধতার পরিপূরক হিসেবেও ভূমিকা রেখে চলেছে।’

এ বছর ১০০টির বেশি দেশ বাংলাদেশের এ রেজুল্যুশনটিকে কো-স্পন্সর করে, যা ‘শান্তির সংস্কৃতি’ ধারণা এগিয়ে নিতে একটি ব্যাপক সমর্থন। রেজুল্যুশনটির প্রতি অব্যাহত এই সমর্থন এবং প্রতি বছর সর্বসম্মতভাবে এটি গ্রহণ শান্তির প্রবক্তা হিসেবে বাংলাদেশের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের বিশাল আস্থারই সাক্ষ্য বহন করে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর