শনিবার, ১৫ জুলাই, ২০২৩ ০০:০০ টা

রংপুরে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা উজ্জীবিত

নজরুল মৃধা, রংপুর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩০ জুলাই রংপুর আসছেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে আওয়ামী লীগ বিভিন্ন জেলায় জনসভা করার যে কর্মসূচি নিয়েছে, তাতে অংশগ্রহণ পর্যায়ে তিনি রংপুর জিলা স্কুল মাঠে জনসভায় ভাষণ দেবেন। প্রধানমন্ত্রী আসছেন- এই খবরে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা অনেকটা উজ্জীবিত। বৃহস্পতিবার রাত ও শুক্রবার নগরীতে প্রধানমন্ত্রীর আগমনকে ঘিরে সরব আলোচনা করতে দেখা গেছে দলীয় নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষকে। জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়েছে যে, আসন্ন নির্বাচনের জন্য তিনি রংপুরের প্রার্থীর নাম ঘোষণা করতে পারেন। রংপুরের ছয়টি সংসদীয় আসনের মধ্যে বিগত নির্বাচনে দুটি আসন জাতীয় পার্টিকে ছাড় দেওয়া হয়েছিল। প্রশ্ন উঠেছে : এবারও কি আসন ছাড় দেওয়া হবে নাকি ছয়টি আসনেই নিজেদের প্রার্থী থাকবে। আবার অনেকে বলাবলি করছেন কর্মসংস্থান ও শিল্পায়নে রংপুর অনেক পিছিয়ে। এ বিষয়ে হয়তো কিছুটা আশা-ভরসার আলো দেখা দিতে পারে। এটাও বলাবলি হচ্ছে যে, দীর্ঘদিন থেকে রংপুরে আওয়ামী লীগে গ্রুপিং রয়েছে। দলীয় প্রধানের আগমনে ওসব গ্রুপিং দলাদলি মিটে যাবে। ২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সর্বশেষ রংপুরের পীরগঞ্জে এসেছিলেন। সেখানে নির্বাচনী জনসভায় বক্তৃতাও করেছেন। এর পর শেখ হাসিনা রংপুরে আসেননি।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, বৃহস্পতিবার রংপুর জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রংপুর জেলা ও মহানগর শাখার উদ্যোগে ৩০ জুলাই জনসভা আয়োজনের নির্দেশনা দেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও রংপুর-৫ আসনের সংসদ সদস্য এইচ এন আশিকুর রহমান, রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রাজু, রংপুর জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক এ কে এম ছায়াদত হোসেন বকুল, মহানগরের আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাশেম, এইচ এন আশিকুর রহমানের ছেলে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটির সদস্য রাশেক রহমান।

দলীয় ঐক্য না থাকায় গত বছরের ডিসেম্বেরে রংপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর শোচনীয় পরাজয় ঘটে। দলীয় অনৈক্যের বিষয়টি নেতা-কর্মীদের মুখে মুখে এখনো ‘আফসোসের সুর’ হয়ে রয়েছে। সিটি নির্বাচনের পরপরই কেন্দ্র থেকে জেলা ও মহানগর আওয়ামী লীগের কমিটি ভেঙে দিয়ে আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। গ্রুপিংয়ের কারণে গত ২৪ এপ্রিল কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের সদস্য সোনা মিয়াকে পিটিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষ। মিঠাপুকুর উপজেলার এমপি এইচ এন আশিকুর রহমান ও উপজেলা চেয়ারম্যান জাকির হোসেনের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্য। গত কয়েক বছর ধরে জাতীয় ও দলীয় বিভিন্ন অনুষ্ঠান পৃথক পৃথকভাবে পালন করে আসছে মিঠাপুকুর আওয়ামী লীগের দুই তরফ। দলীয় নেতা-কর্মীদের ধারণা শেখ হাসিনার সফরে এসব দ্বন্দ্ব নিরসন হতে পারে।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৃহস্পতিবারের বৈঠকের বিষয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল কাসেম বলেন, বৈঠকে রংপুরের রাজনীতি ও আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে নেত্রী কথা বলেছেন। ঐক্যবদ্ধভাবে দলের জন্য কাজ করতে বলেছেন।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর