জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের আমন্ত্রণে ‘ইউনাইটেড নেশন্স ফুড সিস্টেমস+২ স্টকটেকিং মোমেন্ট’ (ইউএনএফএসএস+২) সম্মেলনে যোগ দিতে আজ রোমের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইতালির রোমে ২৪ থেকে ২৬ জুলাই ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন (এফএও)-এর সদর দফতরে ‘মানুষ, পৃথিবী ও সমৃদ্ধির জন্য টেকসই খাদ্যব্যবস্থা : একটি যূথযাত্রায় বিভিন্ন পথ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে ইউএনএফএসএস+২ সম্মেলন হবে।

সফরসূচি অনুসারে, প্রধানমন্ত্রী ইতালি সফরে খুব ব্যস্ত সময় কাটাবেন। আগামীকাল সোমবার তিনি এফএও সদর দফতরে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ভাষণ দেবেন। ফোরামে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারপ্রধান, কৃষি বিশেষজ্ঞ, খাদ্য উৎপাদনকারী, বিজ্ঞানী, গবেষক ও অন্য স্টেকহোল্ডাররা উপস্থিত থাকবেন। জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসসহ অন্যদেরও অধিবেশনে ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর প্রধানমন্ত্রী ‘ফুড সিস্টেম অ্যান্ড ক্লাইমেট অ্যাকশন’ শীর্ষক পূর্ণাঙ্গ অধিবেশনে অংশ নেবেন। সোমবার সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী ইউরোপের ১৫টি দেশে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতদের নিয়ে আয়োজিত ‘আঞ্চলিক দূত সম্মেলনে’ যোগ দেবেন। ২৫ জুলাই মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করার কথা রয়েছে। এ সময় বাংলাদেশ ও ইতালির মধ্যে ‘জ্বালানি ক্ষেত্রে সহযোগিতা’ এবং ‘সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মসূচি’ শীর্ষক দুটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ ছাড়া রোমভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশন (এফএও), ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড অব এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট (আইএফএডি) এবং ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রামের (ডব্লিউএফপি) নির্বাহী প্রধানরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন, কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক, খাদ্যমন্ত্রী সাধনচন্দ্র মজুমদার, সংসদ সদস্য ও সরকারের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হিসেবে ‘ইউএনএফএসএস+২’-এ যোগ দেবেন। প্রধানমন্ত্রী ২৬ জুলাই দেশের উদ্দেশে রোম ত্যাগ করবেন। ২০২১ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত ‘ইউনাইটেড নেশন্স ফুড সিস্টেমস সামিট’-এ গৃহীত সুপারিশ বাস্তবায়নের অগ্রগতি পর্যালোচনা করার লক্ষ্যে ‘ইউএনএফএসএস+২’ হতে যাচ্ছে। ২০২১ সালের ইউএন ফুড সিস্টেম সামিটে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে পাঁচ দফা সুপারিশ প্রস্তাব করেছিলেন।