বৃহস্পতিবার, ১০ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

২৭ দিন পরে দেশে ফেরা লাশ নিয়ে স্বজনদের আহাজারি

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

২৭ দিন পরে দেশে ফেরা লাশ নিয়ে স্বজনদের আহাজারি

সৌদি আরবের দাম্মামে ফার্নিচারের কারখানায় আগুনে নিহত আটজন বাংলাদেশির মধ্যে সাতজন রাজশাহী অঞ্চলের। গতকাল দুপুরে ২৭ দিন পরে নিহতদের লাশ দেশে ফিরেছে। এর আগে গত ১৪ জুলাই অগ্নিকান্ডের ঘটনায় তাদের মৃত্যু হয়। ঘটনার পরে তাদের লাশ হুফুফ কিং ফাহাদ মর্গে রাখা হয়েছিল। রাজশাহী অঞ্চলের নিহতরা হলেন- রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার বারইপাড়ার জফির উদ্দিনের ছেলে রুবেল হোসাইন, একই এলাকার জমিরের ছেলে মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম, শাহাদাত হোসাইনের ছেলে মো. আরিফ, বাগমারার বড় মাধাইমুরির আনিসুর রহমান সরদারের ছেলে ফিরুজ আলী সরদার, নওগাঁর আত্রাই উপজেলার উদয়পুরের মন্ডল পাড়ার মৃত রহমান সরদারের ছেলে বারেক সরদার (৪৫), একই উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের ঝনঝনিয়া গ্রামের মৃত আজিজার প্রামাণিকের ছেলে রমজান আলী (৩৩) এবং নাটোরের নলডাঙ্গার খাজুরা ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের মৃত দবির উদ্দিনের ছেলে ওবায়দুল হক (৩৩)। দুপুর পৌনে ২টার দিকে রাজশাহীর বাগমারা, নাটোর ও নওগাঁর নিহতদের লাশ গ্রামের বাড়িতে লাশবাহী গাড়িতে পৌঁছালে স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। প্রিয় মানুষকে হারিয়ে আহাজারি করতে থাকেন স্বজনরা। এর আগে নিহতদের লাশ দেশে আসার খবরে পরিবারের পক্ষ থেকে জানাজা ও দাফনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়। দুপুর ২টা ২০ মিনিটে বাগমারা উপজেলার বারইপাড়ার জফির উদ্দিনের ছেলে রুবেল হোসাইনের জানাজা শেষে পারিবারিক গোরস্থানে দাফন করা হয়। রুবেলের স্বজনরা জানান, তারা দীর্ঘ ২৭ দিন পরে লাশ পেয়েছেন। এতদিন তারা নিহত স্বজনরা লাশের অপেক্ষায় ছিলেন।

এ বিষয়ে বাগমারা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা এ এফ এম আবু সুফিয়ান বলেন, সৌদি আরবে নিহতদের মধ্যে চারজন বাগমারার। তাদের লাশ এলাকায় নিয়ে আসা হয়। বিকালে জানাজা ও দাফন করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে সরকারিভাবে নিহতদের পরিবারকে সব ধরনের সাহায্য সহযোগিতা করা হবে।

একই ঘটনায় আরেক নিহত হলেন নাটোরের নলডাঙ্গার খাজুরা ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামের মৃত দবির উদ্দিনের ছেলে ওবায়দুল হক (৩৩)। তারও লাশ গ্রামের বাড়িতে পৌঁছেছে। এ বিষয়ে নাটোরের নলডাঙ্গার ৩ নম্বর খাজুরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন বলেন, ওবাইদুলের লাশ পরিবার পেয়েছে। কবর আগে থেকে প্রস্তুত করা ছিল। দুপুর আড়াইটায় চাঁদপুর বাজারে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

সৌদি আরবের এ ঘটনায় নওগাঁর আত্রাই উপজেলার উদয়পুরের মন্ডল পাড়ার মৃত রহমান সরদারের ছেলে বারেক সরদার (৪৫), একই উপজেলার শাহাগোলা ইউনিয়নের ঝনঝনিয়া গ্রামের মৃত আজিজার প্রামাণিকের ছেলে রমজান আলীর (৩৩) মৃত্যু হয়। দুপুরে তাদের লাশ নিজ নিজ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। আত্রাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ইকতেখারুল ইসলাম বলেন, নিহতদের লাশ আসার পরে বাদ জোহর দাফন সম্পন্ন হয়েছে। ১৪ জুলাই সন্ধ্যায় সৌদি আরবের দাম্মামে ফার্নিচারের কারখানায় আগুনে আটজন বাংলাদেশির মধ্যে সাতজন রাজশাহী অঞ্চলের। এ ছাড়া মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার আলিনগর ইউনিয়নের সস্তাল গ্রামের ইউনুস ঢালীর ছেলে জুবায়ের ঢালী।

সর্বশেষ খবর