বৃহস্পতিবার, ১০ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

ছাত্রদলের সভাপতি পদ থেকে শ্রাবণ কেন অপসারিত

শফিকুল ইসলাম সোহাগ

ছাত্রদলের সভাপতি পদ থেকে শ্রাবণ কেন অপসারিত

ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণকে হঠাৎ করেই অসুস্থতার অজুহাতে বাদ দিয়ে সংগঠনটির সিনিয়র সহ-সভাপতি রাশেদ ইকবাল খানকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করা হয়। মঙ্গলবার রাতে এ তথ্য পাওয়া গেল বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে। শ্রাবণকে অপসারণের নেপথ্যে বিভিন্ন কারণের কথা বলছেন বিএনপিসহ ছাত্রদলের নেতারা। তাদের দাবি, শ্রাবণ সুস্থ আছেন এবং মঙ্গলবারও তিনি ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গেছেন। সূত্র জানায়, গত ২৯ জুলাই ঢাকার প্রবেশমুখে অবস্থান কর্মসূচিতে শ্রাবণের পারফরম্যান্স ছিল হতাশাব্যাঞ্জক। সভাপতির সেদিন ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কের উত্তরা এলাকায় থাকার কথা ছিল। অভিযোগ উঠেছে, তিনি সেখানে যাননি। বিকালের দিকে তিনি খিলক্ষেত এলাকায় ঝটিকা মিছিল করেন। মূলত অবস্থান কর্মসূচির দায়িত্বে অবহেলার কারণেই শ্রাবণের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থা। এদিকে সরকারের পদত্যাগের এক দফার আন্দোলন যখন চূড়ান্ত পর্যায়ের দিকে যাচ্ছে, সে সময় আন্দোলনের মূল চালিকাশক্তি হিসেবে পরিচিত ছাত্রদলের সভাপতিকে এভাবে অপসারণকে ভালোভাবে নেননি অনেকে। তাদের মতে, এই মুহূর্তে ছাত্রদল সভাপতিকে সরিয়ে দেওয়ার বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে আন্দোলনে। এ ঘটনায় ছাত্রদলে কোন্দল আরও ঘনীভূত হবে। শ্রাবণ সংগঠনের অভ্যন্তরীণ ষড়যন্ত্রের শিকার বলে দাবি অনেকের। সূত্র জানায়, গত ২ আগস্ট বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমানকে সাজা দেওয়ার ঘটনায় নয়াপল্টনের দলীয় কার্যালয়ের সামনের সড়কে দল ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিলে মারামারি হয়েছিল। এই ঘটনার রেশ অব্যাহত থাকে, যা একপর্যায়ে দলের হাইকমান্ডেরও নজরে আসে। এ জন্য ছাত্রদল সভাপতিকে দায়ী করেন অনেকে। শ্রাবণকে বাদ দেওয়ার বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো বক্তব্য না দিলেও ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি ও বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী বলেন, শ্রাবণ অসুস্থ।

তাই আরেকজনকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করা হয়েছে। শ্রাবণ সুস্থ হলে তাকে আবার তার পদ ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ছাত্রদলের এক সহ-সভাপতি বলেন, ২৯ জুলাই বিএনপির অবস্থান কর্মসূচিতে ছাত্রদল সভাপতি শ্রাবণ যদি গাফিলতি করে তাহলে সে অপরাধে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের অনেকেই অপরাধী। সেদিন দাদা (গয়েশ্বর চন্দ্র রায়) ছাড়া কারও পারফরম্যান্স আশাব্যাঞ্জক ছিল না। তাহলে শ্রাবণ একা বলির পাঁঠা হবে! ছাত্রদলের আরেক সহ-সভাপতি বলেন, শ্রাবণ সেদিন সঠিকভাবে ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হয়ে থাকলে তাকে শোকজ করা যেত।

বিএনপির একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, সরকারবিরোধী আন্দোলনে আগামীতে যাতে কেউ গাফিলতি না করে এটি সে বিষয়ে বিএনপি নেতাদের জন্য একটি বার্তা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর