শিরোনাম
শুক্রবার, ১৮ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

তিন বছরেও হয়নি ৯ মাসের কাজ

রাজশাহী সিটি করপোরেশন

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

রাজশাহী সিটি করপোরেশন এলাকায় সমন্বিত নগর উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ২ হাজার ৪৫টি কাজের দরপত্র আহ্বান করা হয়। নয় মাসের মধ্যে কাজগুলো শেষ করার কথা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের। মাঝে মেয়াদ বাড়ালেও নয় মাসের কাজ ৩৬ মাসে গিয়ে ঠেকেছে। তার পরও ১ হাজার ৪৫৫টির কাজ পড়ে আছে। ফলে ভোগান্তি বেড়েছে নগরবাসীর। রাজশাহী সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, ‘রাজশাহী মহানগরের সমন্বিত নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প’-এর অধীনে নগরীর ৩০টি ওয়ার্ডের অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য ১৮৭ কোটি ৫২ লাখ টাকার প্রকল্পের কাজ পায় ঢাকার তানভীর কনস্ট্রাকশন। ২০২০ সালে দরপত্র আহ্বান করে কার্যাদেশ দেওয়া হয়। ওই বছর ২৩ সেপ্টেম্বর এ কাজের মেয়াদ শেষ হয়ে যায়। পরে ২০২১ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়। সর্বশেষ চলতি বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত কাজের মেয়াদ বাড়ানো হয়। এর আগে ঠিকাদারকে তাগাদা দিয়ে ছয়বার চিঠি দেওয়া হয়। সর্বশেষ ঠিকাদারকে চিঠি দেওয়া হয় এ বছরের ১৬ মার্চ। এতে বলা হয়, ‘চলমান কাজগুলো মন্থর গতিতে চলছে। বেশির ভাগ প্যাকেজের কাজ বন্ধ আছে। ওই প্যাকেজের কাজগুলো আবার আরম্ভ এবং চলমান প্যাকেজের কাজগুলো ত্বরান্বিত করার জন্য একাধিকবার চিঠি দেওয়া এবং মৌখিক আলোচনা করেও সন্তোষজনকভাবে ত্বরান্বিত হয়নি।’ সে সময় ঠিকাদারকে সাত দিন পরপর কাজের অগ্রগতি জানাতে বলা হয়; কিন্তু তা করা হয়নি। এখন সিটি করপোরেশন আট গ্রুপের কাজের মধ্যে চার গ্রুপের কাজ বাতিল করে দেওয়ার উদ্যোগে নিচ্ছে। রাজশাহী নগরীর ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আলীগঞ্জ বাজার এলাকার দেড় কিলোমিটারের একটি সড়ক এ প্রকল্পের আওতায়। নালা পাকাকরণের কাজ শেষ হয়নি। এ কারণে এলাকার মানুষ দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে। প্রায় দেড় কিলোমিটার সড়ক এখনো কাঁচা। হালকা বৃষ্টিতেই সড়ক কাদা হয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দা বুলবুল আহম্মেদ জানান, করোনার মধ্যে যখন বিধিনিষেধ দেওয়া হয়, তার আগে নালার কাজ শুরু হয়। ৫০ ফুট করে কাজ ফেলে রাখা হয়। দীর্ঘদিন পরে ঠিকাদারের লোকজন আবার কাজ শুরু করে; কিন্তু কাজ শেষ হয়নি। এ এলাকার মানুষের বাড়িতে ময়লাপানি ঢুকে যায়। চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। নগরীর ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের আহমদপুরের চামপাচা পুকুরের পাশের সড়কটি খুঁড়ে খোয়া ঢেলে রাখা হয়েছে। দুই বছর ধরে এভাবেই সড়কটি ফেলে রাখা হয়েছে। ভারী বৃষ্টি হলেই রাস্তাটি ডুবে যায়। বৃষ্টি হলে চরম দুর্ভোগ হয়। ২২ নম্বর ওয়ার্ডের কিছু এলাকায় কাজ চলছে। সড়ক কার্পেটিং করা হয়েছে যথেচ্ছভাবে। স্থানীয় কাউন্সিলর আবদুল হামিদ সরকার টেকন বলেন, ‘ঠিকাদারকে অনেক কষ্টে ডেকে কাজ করিয়ে নিচ্ছি।’ রাজশাহী সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর ইসলাম বলেন, বারবার তাগাদা সত্ত্বেও ঠিকাদার কাজ করেননি। মানুষের দুর্ভোগ হচ্ছে।

 আপাতত আট গ্রুপের মধ্যে চার গ্রুপের কাজ বাতিল করা হবে। বাকি চার গ্রুপের কাজের গতি সন্তোষজনক না হলে সেগুলোও বাতিল করা হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর