সোমবার, ২১ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে ৩০০ কিমি. পাইপলাইন প্রতিস্থাপন করবে ওয়াসা

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামে ৩০০ কিমি. পাইপলাইন প্রতিস্থাপন করবে ওয়াসা

চট্টগ্রাম ওয়াসা নগরের ৩০০ কিলোমিটার পাইপলাইন প্রতিস্থাপন করবে। একই সঙ্গে ৪৬টি ডিস্ট্রিক্ট মিটারিং এরিয়া স্থাপন এবং ৪০ হাজার গ্রাহককে স্মার্ট মিটারের আওতায় আনা হবে। তাছাড়া, জরুরি পরিস্থিতি  নিয়ন্ত্রণে ৪০টি গভীর নলকূপও প্রতিস্থাপন করবে। সংস্কার করা হবে নগরের নাসিরাবাদ ও হালিশহরের দুটি স্টোর। প্রকল্পে অর্থায়ন করবে বিশ্ব ব্যাংক। বৃহস্পতিবার সংস্থাটির একটি দল সাতদিনের জন্য প্রকল্প এলাকা পর্যবেক্ষণ করবে। ওয়াসা সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রাম ওয়াসার বিদ্যমান পানি সরবরাহ লাইনগুলো দীর্ঘদিনের পুরনো। ফলে বিভিন্ন সময় সমস্যা দেখা দেয়। তাই বিদ্যমান সমস্যা নিরসনে পাইপলাইন প্রতিস্থাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। এ নিয়ে গত এক বছর ধরে ফ্রান্সভিত্তিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ‘সুয়েজ’ সম্ভাব্যতা যাচাই করে। প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয় ৩০০ মিলিয়ন ডলার। এর মধ্যে বিশ্ব ব্যাংক ২৫০ মিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা দেওয়ার কথা এবং ৫০ ডলার বহন করবে সরকার।  সমীক্ষায় বলা হয়, পাইপলাইন স্থাপনের ফলে পানি সরবরাহ নেটওয়ার্কের উন্নয়ন ও প্রসার ঘটবে। পাঁচটি সেক্টরে ভাগ করে ৪৬টি ডিএমএ এবং ৪০ হাজার অটোমেটেড মিটার রিডিং ফিচারের স্মার্ট ওয়াটার মিটার স্থাপন হলে অবৈধ পানি ব্যবহারের হার কমবে। চট্টগ্রাম ওয়াসার নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউল আহসান চৌধুরী বলেন, প্রকল্পের জন্য ডিপিপি তৈরি করা হয়েছে। মন্ত্রণালয় অনুমোদন দিলে দাতা সংস্থার সঙ্গে ঋণ চুক্তি হবে। প্রকল্পের অধীন পুরাতন পাইপ লাইনের মধ্যে যেগুলো ভাল আছে সেগুলো রেখে দেয়া হবে। নষ্টগুলো পরিবর্তন করা হবে। তাছাড়া, প্রকল্পের আওতায় পাহাড়ি ঢলে পানি ঘোলা বা লবণাক্ততা বৃদ্ধির সময়ের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কালুরঘাটে ৪০টি গভীর নলকূপ প্রতিস্থাপন করা হবে। সামগ্রিক প্রক্রিয়া শেষ করে আগামী বছরের জুনে কাজ শুরুর আশা করছি। ওয়াসা সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে নগরে ১৬৮ দশমিক ২১ বর্গ কিমি. এলাকায়  প্রায় এক হাজার ৩০০ কিমি. পাইপলাইন আছে। এর মধ্যে কর্ণফুলী পানি সরবরাহ প্রকল্প-এক এর আওতায় ৪৫ কিমি. ও প্রকল্প দুই এর আওতায় নগরের মধ্যবর্তী স্থান থেকে ৫৫ বর্গ কিমি. এলাকায় ৭০০ কিমি এবং চট্টগ্রাম পানি সরবরাহ উন্নয়ন ও স্যানিটেশন প্রকল্পের অধীন ১৫০ কিমি. পাইপলাইন স্থাপন করা হয়।

বর্তমানে নগরে প্রায় ৩২ লাখ মানুষ ওয়াসার সেবার আওতায় আছে। ওয়াসার আবাসিক গ্রাহক সংযোগ ৭৮ হাজার ৫৪২টি এবং বাণিজ্যিক সংযোগ ৭ হাজার ৭৬৭টি। বর্তমানে নগরে পানির চাহিদা ৫৫ কোটি লিটার, উৎপাদন হয় ৫০ কোটি লিটার। এর মধ্যে শেখ রাসেল পানি সরবরাহ প্রকল্প থেকে দৈনিক ৯ কোটি লিটার, শেখ হাসিনা পানি শোধনাগার প্রকল্প এক ও দুই থেকে ১৪ কোটি লিটার করে ২৮ কোটি লিটার এবং মোহরা পানি সরবরাহ প্রকল্প থেকে ৯ কোটি লিটার। তাছাড়া, গভীর নলকূপ থেকে আসে চার কোটি লিটার। ওয়াসার পানির মূল উৎস কর্ণফুলী ও হালদা নদী।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর