সোমবার, ২১ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের মাথাব্যথা কেন : কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের মাথাব্যথা কেন : কাদের

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিশ্বের শক্তিধর দেশগুলোর ‘মাথাব্যথা’ কেন, এ প্রশ্ন তুলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ বছর ২০ থেকে ২২টি দেশে নির্বাচন হতে যাচ্ছে, কিন্তু এসব দেশের নির্বাচন নিয়ে কোথাও কারও কোনো কথা নেই বলেও জানান তিনি। গতকাল সচিবালয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমের খবরে মনে হতে পারে আওয়ামী লীগের পাশে আছে ভারত, আর বিএনপির পাশে আছে যুক্তরাষ্ট্র। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এখন এ অঞ্চলকে ঘিরে বিভিন্ন দেশের ভূ-রাজনৈতিক কৌশল রয়েছে। সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ আছে, ভারতেরও আছে। থাকাটা স্বাভাবিক। ওদিকে আবার চীনও রয়েছে, একটা বড় শক্তি।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, ভারত নিজের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে জানিয়েছে। আমাদের কখনো বলেনি যে, আপনারা নির্বাচনে এভাবে করুন কিংবা সেভাবে করুন কিংবা তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন করুন। এসব কথা যুক্তরাষ্ট্রও বলেনি। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের তৎপরতা বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, সকালে ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করার আগেই অনেকে চোখ কচলাতে কচলাতে দূতাবাসে ছুটে যান। এটা তো আমরা করি না। ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন আমাদের কাছে সময় চেয়েছে, আমরা তাদের সময় দিয়েছি। আমরা অনাহূতের মতো সেখানে যাইনি। মার্কিন রাষ্ট্রদূত মধ্যাহ্নভোজের দাওয়াত দিয়েছিলেন। সে কারণে আমরা দাওয়াতে গিয়েছি ও কথাবার্তা বলেছি। আমি স্পেসিফিকলি মার্কিন রাষ্ট্রদূতকে বলেছিলাম যে, নির্বাচন কমিশন, সরকার ও প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিষয়ে আপনাদের মতামত চাই। তিনি জানিয়েছেন এসব বিষয়ে তাদের কোনো মতামত নেই।

ওবায়দুল কাদের বলনে, এ মুহূর্তে ইকুয়েডরে নির্বাচন হচ্ছে, আর্জেন্টিনাতেও নির্বাচন হচ্ছে। কোথাও অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে কোনো কিছু নেই। ইকুয়েডরে তো নির্বাচনী প্রার্থীকে মেরে ফেলেছে। এসব নিয়ে কেউ কোনো কথা বলছে না। আমাদের দেশ নিয়ে এত মাথাব্যথা কেন? এর কারণটা আসলে কী আমরা তা বুঝি না। তিনি আরও বলেন, জনগণের কাছে আমাদের প্রতিশ্রুতি হলো, আমরা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করব। সেটি আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমাদের নিয়ম ও সংবিধান রয়েছে। দুনিয়ার অন্য দেশে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচন হয়, আমরাও এর বাইরে যাচ্ছি না। নির্বাচন সামনে রেখে আগামী দিনগুলো সরকারের জন্য চ্যালেঞ্জিং কি না, প্রশ্নের উত্তরে কাদের বলেন, রাজনৈতিক জীবনে, রাষ্ট্রীয় জীবনে, ব্যক্তিজীবনে কোনো চ্যালেঞ্জই অনতিক্রম্য না। সব চ্যালেঞ্জই অতিক্রম করা যায়। ইনশাআল্লাহ, আমরা সব চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে পারব। নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করছে। এটি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অনুগত কোনো প্রতিষ্ঠান নয়।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর