সোমবার, ২১ আগস্ট, ২০২৩ ০০:০০ টা

সরকারের বিদায় সময়ের ব্যাপার মাত্র : ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকারের বিদায় সময়ের ব্যাপার মাত্র : ফখরুল

বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর  অভিযোগ করে বলেছেন, সরকারপ্রধানের নির্দেশে কিছুসংখ্যক অতি উৎসাহী দলবাজ পুলিশ কর্মকর্তা বেআইনি কর্মকান্ড চালানোর জন্য মাঠপর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ওপর চাপ অব্যাহত রেখেছেন। তিনি বলেন, সরকারপ্রধানের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও নির্যাতন থেকে দেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিরাও রেহাই পাচ্ছেন না। দেশের বিশিষ্ট লেখক ও খ্যাতিমান সাংবাদিক শফিক রেহমান এবং সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়েছেন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের আজ্ঞাবহ আদালত। এ থেকেই বোঝা যায়, বিরোধী মতের আন্দোলনে দিশাহারা হয়ে পড়েছে সরকার। জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে এই সরকারের বিদায় এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। গতকাল রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, অবৈধ সরকার জনবিচ্ছিন্ন হয়ে দেশের নিরীহ গণতন্ত্রকামী মানুষের ওপর তার নিজস্ব বাহিনী দ্বারা গুলি করে হত্যা, গুম, খুনসহ সব ধরনের নির্যাতন চালাচ্ছে। বিএনপির এ নেতা বলেন, দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি প্রতিদিন জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে। এটা ইঙ্গিত দেয়, যেভাবেই হোক তারা বিরোধী দলকে মাঠ থেকে সরিয়ে আবারও ক্ষমতায় যাবে। এটাই একমাত্র লক্ষ্য।

সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সন্ত্রাসী পার্টি। অবৈধ সরকারের নির্দেশে পুলিশ এসব করছে। আমরা বারবার বলেছি রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস চলছে। বিচার বিভাগ, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও অন্যান্য বাহিনী একইভাবে কাজ করছে। আমাদের কাছে তথ্য আছে প্রয়োজনে আমরা দেখাব। বিচারপতিদের বলা হচ্ছে দ্রুত সাজার রায় দিতে। অর্থাৎ তারা পুরো মাঠ খালি করে দিতে চায়।’

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, সরকার নিজেদের প্রার্থীদের বিজয়ী করার জন্য বিরোধীপক্ষকে নির্বাচনে অযোগ্য এবং নেতা-কর্মীদের নির্বাচনী মাঠ থেকে তথাকথিত আইনি প্রক্রিয়ায় বিতাড়িত করার সব অপকৌশল গ্রহণ করে চলেছে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল (শনিবার) খালেদা জিয়ার মুক্তি ও উন্নত চিকিৎসার দাবিতে শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে হবিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা নির্মমভাবে গুলি, টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে শত শত নেতা-কর্মীকে আহত করেছে।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ১৮ আগস্ট ছাত্রদলের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম জিসানকে তার আজিমপুরের বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায়। এ খবর পেয়ে তার বাসার সামনে কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক শাহাদত হোসেন, ঢাবি ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মো. হাসানুর রহমান, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল রিয়াদ, এফ রহমান হল ছাত্রদলের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দীন মোহাম্মদ বাবর, শিক্ষানবিশ আইনজীবী আরিফ বিল্লাহ উপস্থিত হলে সাদা পোশাকধারী আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সেখানে হানা দিয়ে তাদের তুলে নিয়ে যায়। পরে পুলিশের গোয়েন্দা কার্যালয়ে তাদের নিয়ে অস্ত্র দিয়ে নাটক সাজিয়ে মামলা দিয়ে আবারও একই পথে অগ্রসর হচ্ছে সরকার। অবিলম্বে তাদের মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান মির্জা ফখরুল।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর