সোমবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

হারিছ চৌধুরীকে ভুলে গেছে সিলেট বিএনপি

পরিবার মৃত্যুবার্ষিকী পালন করলেও কোনো কর্মসূচি নেই দলের

শাহ্ দিদার আলম নবেল, সিলেট

হারিছ চৌধুরীকে ভুলে গেছে সিলেট বিএনপি

জোট সরকারের সময়ের প্রতাপশালী ছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক উপদেষ্টা আবুল হারিছ চৌধুরী। বহুল আলোচিত হাওয়া ভবনের নিয়ন্ত্রণকর্তাদের একজন ছিলেন তিনি। তার প্রভাবের কাছে অসহায় ছিলেন বিএনপির অনেক বড় বড় নেতাও। কিন্তু ওয়ান ইলেভেনের পটপরিবর্তনের পর ‘হাওয়া হয়ে যান’ হাওয়া ভবনের এই নেতা। পরিণত হন রহস্যমানবে। দীর্ঘ আত্মগোপনকালে কেউ সঠিক করে বলতে পারেনি তার অবস্থান। সবশেষ তার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয় হারিছ চৌধুরী দেশেই ছিলেন। ঢাকায় তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন এবং দাফনও হয়েছে। মৃত্যু সংবাদের সঙ্গে সঙ্গে যেন দলীয় নেতা-কর্মীরাও ভুলে যেতে বসেছেন হারিছ চৌধুরীকে। পরিবারের দাবি মতে, গতকাল ছিল হারিছ চৌধুরীর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী। দিনটি উপলক্ষে পরিবারের পক্ষ থেকে মিলাদ, দোয়া ও শিরনির আয়োজন করলেও দলের পক্ষ থেকে কোনো কর্মসূচি পালন করা হয়নি। ওয়ান ইলেভেনের সময় গা ঢাকা দেওয়ার পর হারিছ চৌধুরীর অবস্থান কেউ সঠিকভাবে শনাক্ত করতে পারেনি। কখনো শোনা গেছে তিনি আছেন ভারতে নানাবাড়িতে। আবার কখনো যুক্তরাজ্যে পরিবারের সঙ্গে। আবার ইরানের তার ভাইয়ের কাছে অবস্থানের খবরও রটে। কিন্তু তাকে স্বচক্ষে দেখেছেন এমনটা দাবি করতে পারেননি কেউ। পরিবারের পক্ষ থেকে হারিছ চৌধুরীর মৃত্যুর দাবি করা হলেও এখনো আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর খাতায় তিনি পলাতক আসামি। ইন্টারপুলের রেড লিস্টেও ঝুলছে তার নাম। তবে আইনের দৃষ্টিতে হারিছ চৌধুরীর অবস্থান যাই হোক না কেন, তার পরিবারের দৃঢ় দাবি হারিছ চৌধুরী বেঁচে নেই। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হতে প্রয়োজনে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে ডিএনএ টেস্ট করারও দাবি জানিয়েছেন তার মেয়ে সামিরা। এদিকে, হারিছ চৌধুরীর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল তার গ্রামের বাড়ি সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার পূর্ব দর্পনগর গ্রামের চৌধুরী বাড়িতে পরিবারের পক্ষ থেকে বিশাল মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং শিরনির আয়োজন করা হয়।

হারিছ চৌধুরীর ভাই কামাল আহমদ চৌধুরী জানান, মৃত্যুবার্ষিকীর কর্মসূচিতে প্রায় ৩ হাজার মানুষ অংশ নিয়েছেন। দলীয় নেতা-কর্মী ছাড়াও এলাকার লোকজন মিলাদ, দোয়া ও শিরনিতে অংশ নেন। সবাই প্রয়াত হারিছ চৌধুরীর রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করেছেন।

এদিকে পরিবারের পক্ষ থেকে মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করলেও সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপি ছিল নীরব।

অনেকটা ভুলে যাওয়ার মতো দিনটি অতিবাহিত করেছেন দলের নেতা-কর্মীরা। তবে হারিছ চৌধুরীর পারিবারিক কর্মসূচিতে মহানগর সভাপতি নাসিম হোসাইন ও   জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরীসহ বেশ কয়েকজন নেতা অংশ নেন। এ প্রসঙ্গে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ূম চৌধুরী বলেন, হারিছ চৌধুরীর মৃত্যুতে দলীয়ভাবে কোনো কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়নি। পারিবারিক কর্মসূচিতে দলের নেতা-কর্মীরা অংশ নিয়েছেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর