সারা দেশে গত আগস্ট মাসে ৪৪১টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এতে ৪২৬ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ৭৯৩ জন। এর মধ্যে শুধু ঢাকা বিভাগেই ১২৫টি সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ১২৬ জন। বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়। সংস্থাটির মহাসচিব মোজাম্মেল হক চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এসব সড়ক দুর্ঘটনায় মোট ৬৩৫টি যানবাহনের পরিচয় মিলেছে। এগুলোর মধ্যে ২৮ দশমিক ৩৪ শতাংশ মোটরসাইকেল, ২২ দশমিক ২০ শতাংশ ট্রাক-পিকাপ-কাভার্ডভ্যান ও লরি, ১৫ দশমিক ১১ শতাংশ বাস, ১৭ শতাংশ ব্যাটারিচালিত রিকশা ও ইজিবাইক, ৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ সিএনজিচালিত অটোরিকশা, ৪ দশমিক ৫৬ শতাংশ নছিমন-করিমন-মাহিন্দ্রা-ট্রাক্টর ও লেগুনা, ৬ দশমিক ৭৭ শতাংশ কার-জিপ-মাইক্রোবাস সড়কে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছে। মোট দুর্ঘটনার ৬১ দশমিক ৪৫ শতাংশ গাড়ি চাপা দেওয়ার ঘটনা, ২১ দশমিক ৯৯ শতাংশ মুখোমুখি সংঘর্ষ, ১২ দশমিক ৯২ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে, ২ দশমিক ৭২ শতাংশ বিবিধ কারণে এবং শূন্য দশমিক ৯০ শতাংশ ট্রেন-যানবাহন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনার ধরন বিশ্লেষণে দেখা যায়, আগস্ট মাসের মোট দুর্ঘটনার ৩৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ মহাসড়কে, ২১ দশমিক ৮ শতাংশ আঞ্চলিক মহাসড়কে ও ৩১ দশমিক ৬ শতাংশ ফিডার রোডে সংঘটিত হয়েছে। এ ছাড়াও সারা দেশে সংঘটিত মোট দুর্ঘটনার ৭ দশমিক ২৫ শতাংশ ঢাকা মহানগরীতে, ১ দশমিক ১৩ শতাংশ চট্টগ্রাম মহানগরে এবং শূন্য দশমিক ৯০ শতাংশ রেলক্রসিংয়ে সংঘটিত হয়েছে। দুর্ঘটনার মধ্যে ১৭১টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ১৬৮ জন নিহত এবং ১৪৯ জন আহত হয়েছেন।
বাংলাদেশ যাত্রীকল্যাণ সমিতির পর্যবেক্ষণ মতে, সড়ক দুর্ঘটনার উল্লেখযোগ্য কারণগুলোর মধ্যে আছে- দেশের সড়ক-মহাসড়কে মোটরসাইকেল ও ইজিবাইকের অবাধ চলাচল। ব্যাটারিচালিত রিকশা ও তিন চাকার যানের ব্যাপক বৃদ্ধি। সড়ক-মহাসড়কে রোড সাইন বা রোড মার্কিং। সড়কে বাতি না থাকা। মহাসড়কের নির্মাণ ত্রুটি, যানবাহনের ত্রুটি, ট্রাফিক আইন অমান্য করার প্রবণতা। উল্টোপথে যানবাহন চালানো, সড়কে চাঁদাবাজি, পণ্যবাহী যানে যাত্রী পরিবহন, অদক্ষ চালক, ফিটনেসবিহীন যানবাহন, বেপরোয়াভাবে যানবাহন চালানো। রেলক্রসিংয়ে দায়িত্বরত ব্যক্তির গাফিলতি, ফিডার রোড এবং আঞ্চলিক রোড থেকে হঠাৎ যানবাহন মহাসড়কে উঠে আসা।
