বৃহস্পতিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

মোটরসাইকেল কিনে না দেওয়ায় ছেলের ঘুষিতে মায়ের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর মুগদা এলাকার একটি বাসায় কিশোর ছেলের ঘুষিতে মায়ের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। নিহতের নাম মমতাজ বেগম মরনী (৫০)। এ ঘটনায় ছেলে সোহান হাওলাদারকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। গতকাল সকাল ৬টার দিকে দক্ষিণ মান্ডা মহিলা মেম্বারের গলির একটি তিনতলা বাড়ির নিচতলায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান মুগদা থানার এসআই আঙ্গুরা আক্তার সীমা। জানা গেছে, মমতাজ বেগম একজন গৃহিণী। তার স্বামীর নাম আবদুল জলিল হাওলাদার। তিনি একটি প্রতিষ্ঠানের নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে কর্মরত। তিন ছেলের মধ্যে সোহান ছোট। মৃত মমতাজের গ্রামের বাড়ি বরিশালের মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার সলদীতে। বাড়ির মালিক সাব্বির হোসেন জানান, মমতাজের ছোট ছেলে সোহান। সে তার এক বন্ধুর মোটরসাইকেল নষ্ট করে। সেখানে সাড়ে ৩ হাজার টাকা লাগবে। সেই টাকা তার মায়ের কাছে চেয়েছিল। এ নিয়ে তার মায়ের সঙ্গে তর্কবিতর্কের একপর্যায়ে মাকে হত্যা করে। ঘটনার সময় সোহানের বাবা ডিউটিতে ছিলেন। বাসায় তার মা ও সোহান ছিল। মৃতের মাথায় আঘাত ও গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় ছিল। খবর দিলে পুলিশ এসে তার লাশ উদ্ধার করে ও সোহানকে আটক করে। মুগদা থানার এসআই আঙ্গুরা বলেন, দক্ষিণ মান্ডার একটি বাড়ির নিচতলায় ছেলের হাতে মায়ের মৃত্যুর ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। গিয়ে জানতে পারে, ১৪ বছর বয়সী সোহান তার মায়ের গলায় (কণ্ঠনালি) ঘুষি মারে। এতে ঘটনাস্থলেই মা মমতাজ বেগমের মৃত্যু হয়।

 নিহতের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠানো হয়েছে।

 মাথায় আঘাত, নাক-মুখ দিয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ ও শ্বাসরোধে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

নিহতের বড় ছেলে সোহাগ হাওলাদারের স্ত্রী ডলি বেগম বলেন, আমরা বাড্ডায় থাকি, সকালে খবর পাই শাশুড়ি খুন হয়েছেন। তার ছোট ছেলেই নাকি তাকে হত্যা করেছে। পুলিশ তাকে ধরে নিয়ে গেছে।

এ বিষয়ে মুগদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল মজিদ বলেন, মমতাজ বেগমের ছেলে সোহান তার মাকে হত্যার দায় অকোপটে স্বীকার করেছে। তার বাবা এটা শুনে রীতিমতো হতবাক। সন্তান হয়ে মাকে কীভাবে হত্যা করল এবং স্বীকার করল। মাকে হত্যা করলেও সোহানের মধ্যে কোনো ফিলিংস নেই।

সর্বশেষ খবর