রাজশাহীর চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুল আলমের ৭ লাখ টাকা ঘুষ দাবির ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি করেছেন জেলা পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান। রবিবার সন্ধ্যায় পুলিশ সুপারের আদেশে এ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির প্রধান করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মো. আশরাফকে। তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) রফিকুল আলম ও চারঘাট সার্কেলের উপ-অতিরিক্ত পুলিশ সুপার প্রণব কুমার। রাজশাহী জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) ও মুখপাত্র রফিকুল আলম বলেন, তিন সদস্যের কমিটি গঠন করে সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। মঙ্গলবার (আজ) পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে ভুক্তভোগীসহ প্রত্যক্ষদর্শীদের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হবে। গত ১৩ সেপ্টেম্বর দুপুরে নিজের কোয়ার্টারে শয়নকক্ষে ডেকে নিয়ে সাহারা বেগম (২৮) নামের এক গৃহবধূর কাছে ৭ লাখ টাকা ঘুষ দাবি করেন চারঘাট থানার ওসি মাহবুবুল আলম। এ ঘটনার পর থেকে ভয়ে বাড়ি ছাড়া ওই গৃহবধূ। এ বিষয়ে শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) রাজশাহী পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী গৃহবধূ। অভিযোগের সঙ্গে ৬ মিনিটি ৫৩ সেকেন্ডের ওসির একটি অডিও রেকর্ড পাঠানো হয়। ওই দিনই রাতে চারঘাট থানা থেকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয় ওসি মাহবুবুল আলমকে।
ভুক্তভোগী গৃহবধূ সাহারা বেগম চারঘাট থানার চামটা গ্রামের আবদুল আলিম কালুর স্ত্রী। কালু বেশ কিছুদিন ধরে কারাগারে আছেন। আবদুল আলিম কালু গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে শলুয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড থেকে সদস্য পদে নির্বাচন করেন। এতে স্থানীয় প্রতিপক্ষের সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন। এর জেরে মাদক মামলায় ফাঁসিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয় বলে সাহারা বেগম জানিয়েছেন।