উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও কয়েক দিনের অব্যাহত বৃষ্টিপাতে বাড়তে শুরু করেছে তিস্তা নদীর পানি। পানি নিয়ন্ত্রণে ব্যারাজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

গতকাল দুপুর ১২টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয়েছে ৫১ দশমিক ৫২ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার দশমিক ৬৩ সেন্টিমিটার (স্বাভাবিক ৫২ দশমিক ১৫ সেন্টিমিটার) নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এর আগে সকাল ৬টা ও সকাল ৯টায় এ পয়েন্টে পানির প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫১ দশমিক ৫০ সেন্টিমিটার ও ৫১ দশমিক ৪৮ সেন্টিমিটার।

এদিকে, হঠাৎ তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় লালমনিরহাটের নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল ও চরের অনেক বসতবাড়িতে পানি ওঠার উপক্রম হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। এ ছাড়া ফসলের খেত পানিতে ডুবে গিয়ে ফসলহানির শঙ্কায় চিন্তিত কৃষকরা। হঠাৎ পানি বাড়ার ফলে গবাদি পশুপাখি নিয়েও বিপাকে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। হাতিবান্ধা উপজেলার গড্ডিমারির বাসিন্দা রমজান আলী বলেন, হঠাৎ রাতে নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় আমরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছি। পানি বেড়ে যাওয়ায় আমরা রাত জেগেছিলাম। তবে বর্তমানে পানি কিছুটা কমেছে। একই এলাকার একরামুল হক বলেন, ‘এতদিন তো নদীতে পানি ছিল না। হঠাৎ পানি বাড়ছে। ভারত মনে হয় পানি ছাড়ি দিছে। আমাদের যখন পানি লাগে তখন ভারত পানি দেয় না। আর এখন হঠাৎ তারা পানি ছেড়ে দিয়ে আমাদের এলাকায় বন্যা সৃষ্টির পাঁয়তারা করছে’। সদরের রাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোফজ্জল হোসেন বলেন, আমার কিছু চর এলাকায় পানি প্রবেশের খবর পেয়েছি। ওইসব এলাকাতে সবসময় খোঁজ-খবর রাখছি।