রবিবার, ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা
অবৈধ বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন

মিরপুরে দেয়ালের প্লাস্টার ভেঙে ড্রেনের নিচ থেকে কাটা হয় অবৈধ লাইন

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর মিরপুর কমার্স কলেজ সংলগ্ন হাজীপাড়া সড়কে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ উচ্ছেদ শুরু হয়েছে। বিদ্যুৎ বিভাগের একটি দল গতকাল বিকাল সাড়ে ৩টায় ঘটনাস্থল সংলগ্ন অবৈধ বিদ্যুতের তার উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু করে। বিকাল সাড়ে ৪টায় বিদ্যুতের লাইন উচ্ছেদ শেষ করে। এ সময় মিরপুর মডেল থানার কয়েকজন পুলিশ সদস্য ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। গত ২১ আগস্ট রাতে বৃষ্টির পানিতে হেঁটে যাওয়ার সময় রাজধানীর কমার্স কলেজ সংলগ্ন হাজীপাড়া সড়কে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে চারজনের মৃত্যু হয়। তারা সড়কের অন্যপাশের ঝিলপাড় বস্তির বাসিন্দা ছিলেন। বিদ্যুতের অবৈধ সংযোগের কারণে ওই চারজনের মৃত্যু হয়েছে বলে বস্তিবাসীর অভিযোগ।

বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন ঝিলপাড় হাজীপাড়া সড়কের সিরাজিয়া ইসলামিয়া মাদরাসা ও এর পাশে মুক্তা ফার্মেসির মধ্যবর্তী দেয়াল বেয়ে নামানো অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে। এর সামান্য দূরেই শাহজাহান ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড ইলেকট্রনিক্সে এ দেওয়াল সংলগ্ন অবৈধ বিদ্যুতের লাইনও উচ্ছেদ করা হয়। দেওয়ালে প্লাস্টার ভেঙে ও ড্রেনের নিচ থেকে এসব লাইন কাটা হয়। শাবল, হাতুড়ি দিয়ে প্লাস্টার ভেঙে কাটা হয় বিদ্যুতের অবৈধ লাইন। ড্রেনের নিচ থেকে কাটা হয় অবৈধ বিদ্যুতের লাইন।

এলাকার বাসিন্দারা জানান, বিদ্যুতের খুঁটি থেকে লাইন নিয়ে সিরাজিয়া ইসলামিয়া মাদরাসা ও শাহজাহান ইলেকট্রনিকস ভবন সংগলগ্ন দেওয়াল দিয়ে তা নামানো হয়। খুঁটি থেকে বিদ্যুতের অবৈধ সংযোগ দেওয়ার পর তারা নিজেরা বিল্ডিংয়ের দেয়ালে প্লাস্টার করে দেয়। লাইনটি ড্রেনের ভিতর দিয়ে নিয়ে অন্যপাশের ঝিলপাড়ের বস্তিতে সংযোগ দেওয়া হয়। তারা আরও জানান, বস্তিতে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগের কাজ করে একাধিক ব্যক্তি। যাদের নিয়ন্ত্রণে ঝিলপাড় বস্তিতে অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বস্তির এক বাসিন্দা জানান, বিদ্যুতের লাইন থেকে ছয়টি লাইন নামিয়ে বস্তিতে দেওয়া হয়েছে। যার তিনটি ঝিলপড়া বস্তির রাস্তা থেকে নামানো হয়েছে। আর বাকি তিনটি বস্তির বিপরীত পাশের সড়ক থেকে নামানো হয়েছে। বস্তিতে প্রায় ১ হাজার লোকের বসবাস। প্রত্যেক ঘর থেকে মাসে বিদ্যুতের বিল বাবদ ২০০-৮০০ টাকা করে উঠানো হতো।

এ বিষয়ে ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি লি. (ডেসকো) কর্তৃপক্ষ বলেন, এই এলাকায় বিদ্যুতের চোরাই লাইন সম্পর্কে তারা জানতেন না। লাইনটি নেওয়া হয়েছিল ডিএনসিসির ড্রেনের নিচ দিয়ে। এর দায় ডিএনসিসিকে নিতে হবে। ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তে ডেসকো থেকে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দ্রুত কমিটিকে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। ডেসকোর ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকৌশলী মো. কাওসার আমীর আলী জানান, এ ঘটনায় আমরা শক্ত পদক্ষেপ নিতে চাই। যারা চোরাই লাইন নিয়েছে, কোথা থেকে নিয়েছে তা শনাক্ত করে আমরা ব্যবস্থা নেব।

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর