ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ে ব্রহ্মপুত্র নদে নৌকা থেকে পড়ে যাওয়া চার বছর বয়সী সন্তানকে বাঁচাতে লাফিয়ে পড়া নিখোঁজ মা রিনি আঞ্জুমানের (৩৫) লাশ ১৭ ঘণ্টা পর উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। তিনি গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার নগর হাতল গ্রামের নাজমুল ইসলাম সবুজের স্ত্রী। এই দম্পতির তিন সন্তান আছে।

শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে গফরগাঁও উপজেলার সালটিয়া সেতু সংলগ্ন এলাকায় নৌকা থেকে পড়ে যায় শিশুটি। পরে তাকে বাঁচাতে মা মোছা. আঞ্জুমান (৩২) নদে লাফ দেন। এ সময় নৌকায় থাকা স্বজনরা নদে পড়ে যাওয়া শিশুটিকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হলেও ওই নারী তলিয়ে যান। এরপর তাঁর খোঁজ মেলে শনিবার সকাল ১১টার দিকে। এদিকে শিশু আবদুল্লাহ আল সাদকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি নিয়ে যায় স্বজনরা। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, শনিবার ভোর ৬টা থেকে ব্রহ্মপুত্র নদের সালটিয়া সেতু সংলগ্ন এলাকার আশপাশে ডুবুরি দল নিখোঁজ মায়ের লাশ উদ্ধার অভিযান শুরু করে। বেলা ১১টা নাগাদ সেতুর নিচ থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল। গফরগাঁও ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্র্তা রাম প্রসাদ পাল বলেন, নিখোঁজ মায়ের লাশ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে উদ্ধার কাজ দেরি হয়েছে।

স্বজনদের বরাতে পুলিশ জানায়, শুক্রবার দুপুরে ওই গৃহবধূ তাঁর ভাই, শাশুড়িসহ পাঁচজন গফরগাঁওয়ের উদ্দেশে রওনা হয়ে ইউনিয়নের পাঁচুয়ায় আত্মীয়ের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। বিকালের দিকে তাঁরা নৌকা করে ব্রহ্মপুত্র নদে ঘোরার একপর্যায়ে ওই নারীর চার বছর বয়সী এক ছেলে পানিতে পড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে ওই নারী নদীতে ঝাঁপ দেন। এরই মধ্যে নৌকায় থাকা স্বজনেরা ওই শিশুকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। তবে ওই গৃহবধূ পানিতে তলিয়ে যায়। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। শুক্রবার ঘটনার পর থেকে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল প্রায় দেড় ঘণ্টা যৌথ অভিযান চালিয়েও নদে নিখোঁজ নারীর সন্ধান পায়নি।