দেশের মাধ্যমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন ও শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার কমিয়ে আনতে ৩০ কোটি মার্কিন ডলার অর্থাৎ ৩ হাজার ৩৩০ কোটি টাকা (প্রতি ডলার ১১০ টাকা হিসাবে) ঋণ অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংক। এ ঋণের মেয়াদ ৩০ বছর। গ্রেস পিরিয়ড পাঁচ বছর। গতকাল বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায় গত শুক্রবার ওয়াশিংটনে বিশ্বব্যাংকের নির্বাহী পরিচালকদের বোর্ড বাংলাদেশের জন্য ঋণ অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কভিড-১৯ মহামারি ক্ষতি পুষিয়ে নিতে, সশরীরে ও অনলাইন পাঠদানের মিশ্র পদ্ধতির প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে, শিক্ষার মানোন্নয়ন ও শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার কমিয়ে আনতে এ অর্থ ব্যয় করতে পারবে বাংলাদেশ সরকার। ঝরে পড়ার হার কমাতে, প্রোগ্রামটি ৮০ লাখ শিক্ষার্থীকে উপবৃত্তি দেবে এবং পাঁচ হাজার প্রতিষ্ঠানে যেসব সক্রিয় যৌন হয়রানি ও প্রতিরোধ কমিটি রয়েছে সেগুলোর কার্যক্রম নিশ্চিত করবে। প্রোগ্রামটি মানসিক স্বাস্থ্য কাউন্সিলিংকেও সহায়তা করবে। যা বিদ্যালয়ে লিঙ্গ-ভিত্তিক সহিংসতা প্রতিরোধে কমপক্ষে ৩০ শতাংশ উন্নীতকরণে সহায়তা করবে।

বিশ্বব্যাংক জানায়, ‘লার্নিং এক্সিলারেশন ইন সেকেন্ডারি এডুকেশন’ (এলএআইএসই) প্রকল্পের আওতায় ২০২৪ সালে এ অর্থ ব্যয় করবে বাংলাদেশ। প্রকল্পের লক্ষ্য হলো অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী গণিতে বর্তমানে যাদের ২৮ শতাংশ দক্ষতা রয়েছে, তাদের ৬৫ শতাংশে এবং বাংলায় ৬৬ শতাংশ থেকে ৯০ শতাংশে উন্নীত করা। এ ছাড়াও প্রায় ৭ হাজার ২০০ স্কুলে পড়ানোর দক্ষতা উন্নত করার জন্য প্রোগ্রাম থাকবে এবং ১৫ হাজার শিক্ষক তাদের শেখানোর দক্ষতা উন্নত করার জন্য প্রশিক্ষণ পাবেন। এ বিষয়ে বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটান কার্যালয়ের প্রধান আবদোলায়ে সেক বলেন, নিম্ন মাধ্যমিক শিক্ষা ক্ষেত্রে লিঙ্গ সমতা আনয়নে উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ বিগত বছরগুলোতে ব্যাপক অগ্রগতি অর্জন করেছে। কিন্তু কভিডকালে দীর্ঘ মেয়াদে স্কুল বন্ধ থাকায় অত্যন্ত নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। দরিদ্র পরিবারের মেয়েশিশুদের বিরাট অংশ স্কুল ছেড়েই দিয়েছে। শিক্ষা খাতের এ ক্ষতি পুষিয়ে নিতে বিশ্বব্যাংক সব সময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে।