শিরোনাম
মঙ্গলবার, ৩ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

বিএনপি খালেদা জিয়াকে রাজনীতির দাবার ঘুঁটি বানিয়েছে : তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিএনপি খালেদা জিয়াকে রাজনীতির দাবার ঘুঁটি বানিয়েছে : তথ্যমন্ত্রী

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘খালেদা জিয়াকে বিএনপি গিনিপিগ ও রাজনীতির দাবার ঘুঁটি বানিয়েছে।’ গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘মায়ের কান্না’ আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় একটি দেশকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, দয়া করে আমাদের কেউ গণতন্ত্র শিক্ষা দেবেন না। মানববন্ধনে ১৯৭৭ সালের ২ অক্টোবর জিয়াউর রহমানের নির্মম ফাঁসির শিকার বীর মুক্তিযোদ্ধা সেনা ও বিমান বাহিনীর শহীদ সদস্যরা তাকে হত্যাকারী উল্লেখ করে তার তথাকথিত কবর সংসদ ভবন এলাকা থেকে অপসারণের দাবি জানানো হয়। মায়ের কান্না সংগঠনের আহ্বায়ক কামরুজ্জামান মিয়া লেলিনের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিমসহ ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি চায় না খালেদা জিয়া সুস্থ হোক। তারা চায় খালেদা জিয়া যেন আরও অসুস্থ থাকেন, যাতে তারা তাকে নিয়ে রাজনীতি করতে পারেন। তার সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে সরকার কাজ করছে এবং সর্বোচ্চ সহায়তা করবে। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার বিদেশ যাওয়াটা আদালতের এখতিয়ার। সুতরাং আদালতের আদেশ ছাড়া তিনি তো বিদেশ যেতে পারেন না। তাই এই নিয়ে দয়া করে রাজনীতি করবেন না।

একটি দেশকে ইঙ্গিত করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দয়া করে আমাদের গণতন্ত্র শিক্ষা দেবেন না। আমাদের পার্লামেন্ট ভবনে ঘেরাও করে কেউ হত্যাকান্ডের শিকার হয়নি। আমাদের দেশে পরাজিত প্রার্থীরা বেশির ভাগ ক্ষেত্রে পরাজয় মেনে নেয়। কিন্তু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনো পরাজয় মেনে নেননি। যারা গণতন্ত্র শিক্ষা দিতে চান, তাদের অনেকের দেশেই গণতন্ত্র নেই।

তিনি আরও বলেন, কিছু কিছু সংগঠন আছে যারা মানবাধিকার নিয়ে ব্যবসা করে। তারা কাউকে কিল-ঘুসি মারলেও বিবৃতি দেয়। কিন্তু তাদের আত্মীয়স্বজন কাউকে মেরে ফেললে কোনো বিবৃতি নেই। ২০১৩-১৪ সালে যারা মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করেছে, ফিলিস্তিনের শিশুদের ঢিলের বিপরীতে ইসরায়েলি সৈন্যরা যখন পাখির মতো শিশুদের শিকার করে, তখন কোনো বিবৃতি নেই। মায়ের কান্না যখন আপনাদের কানে পৌঁছে না, তখন আপনারা কীসের মানবাধিকার নিয়ে কাজ করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর