বৃহস্পতিবার, ১২ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

মধ্যরাত থেকে ইলিশ শিকারে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শুরু

পাথরঘাটা (বরগুনা) প্রতিনিধি

আজ থেকে ২ নভে¤¦র পর্যন্ত ২২ দিন সারা দেশে ইলিশ আহরণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে সরকার। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত রাত ১২টার আগেই বন্ধ হয়ে যায় ইলিশ ধরা থেকে শুরু করে পরিবহন ও বিক্রি। ইলিশের নিরাপদ প্রজনন এবং মাছ বৃদ্ধির জন্য এ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এর আগে ২০২২ সালের ৭ অক্টোবর থেকে ২৮ অক্টোবর পযন্ত ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা ছিল।

তবে প্রতি বছর কমবেশি বেশি মাছ পাওয়ার আশায় জেলেরা আনন্দ এবং উৎসাহের সঙ্গে নিষেধাজ্ঞা পালন করে। তবে, এ বছর ইলিশ মৌসুমে সাগরে তেমন মাছ ধরা না পড়ায় জেলেদের মুখে হাসি নেই। মৌসুমজুড়ে ইলিশে খরা আর বারবার বৈরী আবহাওয়ার কারণে মাছ শিকার বন্ধ রাখার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে মা ইলিশের বাধাহীন প্রজননের জন্য ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা। তবে ইলিশ ডিম ছাড়ার উপযুক্ততা অর্জন না করায় মৎস্য বিভাগের এ সময় নির্ধারণ নিয়ে পাথরঘাটা উপকূলীয় এলাকার জেলে ও ব্যবসায়ীদের বরাবরের মতো রয়েছে আপত্তি। বরগুনার পাথরঘাটার বৃহত্তর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র  বিএফডিসি ঘাটে  বেচাকেনার ধুম পড়ে। নিষেধাজ্ঞা শুরু হওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে গত রাত ৯টায়ও ক্রেতার ভিড় ছিল। তবে ইলিশের সরবরাহ কম থাকায় দাম ছিল নাগালের বাইরে। রাত ১২টা পর্যন্তই বেচাকেনা চলে।

একাধিক জেলের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষে কয়েকবার সাগরে গিয়েছিলেন কিন্তু বৈরী আবহাওয়ার কারণে মাছ শিকার না করেই ফিরে আসতে হয়েছে।

এখন আবার ২২ দিন নিষেধাজ্ঞা শুরু হয়েছে। পরিবার নিয়ে খুব সমস্যায় পড়তে হবে। তাছাড়া বরাবরের মতো এ বছরও বাংলাদেশের নিষেধাজ্ঞার সময় ভারতীয় জেলেদের অবাধ বিচরণ এবং মাছ শিকারের অভিযোগও রয়েছে জেলেদের। তাদের মতে, ভারত এবং বাংলাদেশে এক সময়ে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া দরকার এবং নিষেধাজ্ঞার সময় নিয়ে আরও বেশি বেশি গবেষণারও তাগিদ দেন তারা।

বাদুড়তলা গ্রামের জাহাঙ্গীর মাঝি বলেন, ইলিশের ডিম ছাড়ার সময় এখনো হয়নি। আরও ১৫ থেকে ২০ দিন পিছিয়ে দিলে সঠিক সময় হতো। তাছাড়া নিষেধাজ্ঞার সময় যে চাল দেওয়া হয় তা দিয়ে সংসার চলে না। বাড়িয়ে দেওয়ারও দাবি জানান তিনি।

পাথরঘাটা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু বলেন, ইলিশের নিরাপদ প্রজননের স্বার্থে কঠোর হস্তে এ নিষেধাজ্ঞা পালন এবং বাস্তবায়ন করা হবে।

সর্বশেষ খবর