সোমবার, ১৬ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

দুই সন্তানকে আটকে রেখে স্ত্রীকে হত্যা

নিজস্ব প্রতিবেদক

স্বামী আল আমিন তার স্ত্রী ফাতেমা কানিজকে গলা কেটে হত্যার পর পাশে বসে থেকেছেন। তারপর পুলিশ আসার পর ধরা দিয়েছেন। হত্যাকান্ডের আগে দুই সন্তানকে পাশের রুমে আটকে রাখেন তিনি।

ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল সকালে রাজধানী ঢাকার সবুজবাগ থানার পূর্ব রাজারবাগ এলাকায়। খবর পেয়ে সবুজবাগ থানা পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে এবং ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) মর্গে পাঠায়। স্বামী আল আমিনকে আটক করেছে পুলিশ। জানা গেছে, ফাতেমা কানিজের বাড়ি কুমিল্লার বাঙ্গরা বাজার থানার রাজা চাপিতলা গ্রামে। ২০০০ সালে আল আমিনের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে জুবায়ের (১৫) ও জাবির (১৩) নামে দুই সন্তান রয়েছে। আল আমিন একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। ফাতেমার ছোট ভাই আসাদুজ্জামান নূর জানান, ফাতেমার সঙ্গে অন্য কারও অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে বলে আল আমিন সন্দেহ করত। এমন মিথ্যা অভিযোগ তুলে ফাতেমাকে প্রায়ই মারধরও করত। ২০১৮ সালে এসব নিয়ে ফাতেমাকে আল আমিন হত্যার চেষ্টা করে। তখন থানায় জিডিও করা হয়েছিল। পরবর্তীতে তা মীমাংসা হয়। গত ২ অক্টোবর স্বামী-স্ত্রী দুজনই ওমরা করে দেশে ফেরেন। এরপরও সেই একই বিষয় নিয়ে ফাতেমাকে নির্যাতন করলে ফাতেমা বাবার বাড়িতে চলে যান। পরবর্তীতে শ্বশুর-শাশুড়ি তাকে বুঝিয়ে আবার বাসায় নিয়ে যান। গতকাল (রবিবার) সকালে ফাতেমার ছেলেরা ফোন করে জানায়, তাদের দুই ভাইকে এক রুমে আটকে রেখেছে তাদের বাবা এবং পাশের রুমে তার মাকে আটকে রেখেছে। আসাদুজ্জামান নূর জানান, খবর শুনে তারা দ্রুত ওই বাসায় যান। সেখানে গিয়ে প্রথমে ফাতেমার ছেলেদের যে রুমে আটকে রাখা হয়েছে, সে রুমের দরজা ভেঙে তাদের বের করেন। পরবর্তীতে বেডরুমের দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে দেখেন, বিছানায় রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে ফাতেমা। তার গলায় ধারালো অস্ত্রের গভীর ক্ষত। সেই রক্তে পুরো বিছানা ভিজে গেছে। আল আমিন তখন নির্বাক হয়ে বিছানার এক পাশে চুপ করে বসে আছেন। তাকে সেখান থেকে ধরে পুলিশে দেওয়া হয়। সবুজবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতিকুর রহমান জানান, আল আমিন তার স্ত্রীকে সন্দেহ করত। এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো। সেই সন্দেহ থেকেই আল আমিন তার স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা করেছে।

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর