মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা
মিতু হত্যা মামলা

২২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলায় আরও পাঁচ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত। সাক্ষ্যদাতারা হলেন- চমেক হাসপাতালের চর্ম ও যৌন রোগ বিভাগের চিকিৎসক ডা. দেব প্রতিম বড়ুয়া, এসআই ত্রিরতন বড়ুয়া, আলমাছ মিয়া, সাগর দাশ এবং আলাল মিয়া। গতকাল তৃতীয় অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ জসিম উদ্দীনের আদালতে তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। এ নিয়ে আলোচিত এ মামলার ২২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। আদালতের বেঞ্চ সহকারি নেছার আহম্মেদ বলেন, মিতু হত্যা মামলায় এক চিকিৎসকসহ পাঁচ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ  ও জেরা শেষ হয়েছে। এ নিয়ে আলোচিত এ মামলাটির ২২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। মামলার পরবর্তি সাক্ষগ্রহণের জন্য ৬ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত। রআগে পিবিআই’র দেয়া অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়- আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থায় কর্মরত বিদেশি নাগরিক এক নারীর সাথে বাবুলের পরকীয়া হয়। এর জের ধরে সংসারে অশান্তি শুরু হয়। পরে বাবুল স্ত্রীকে খুনের সিদ্ধান্ত নেন। তিন লাখ টাকায় ‘খুনি’ ভাড়া করে স্ত্রীকে খুন করায়। নিজেকে আড়ালে রাখতে প্রচার করেন- জঙ্গিরাই মিতুকে খুন করেছে। মিতুকে খুনের মিশনে নেতৃত্ব দিয়েছে পুলিশ কর্মকর্তা বাবুলের ‘সোর্স’ মো. কামরুল ইসলাম শিকদার মুসা। সাথে ছিল আরও ছয়জন।

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৫ জুন নগরীর জিইসি’র মোড় এলাকায় ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে খুন হন সাবেক এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। এ ঘটনায় বাবুল আক্তার বাদি হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। খুনের পাঁচ বছর পর পিবিআই’র তদন্তে এ খুনের সাথে বাবুল আকতারের  সংশ্লিষ্টতার পায়। এরপর ঘুরে যায় আলোচিত এ মামলার তদন্ত। অতপর গ্রেফতার করা হয় বাবুল আকতারকে। ওই মামলায় বাবুল বর্তমানে কারাগারে বন্দি রয়েছেন। ২০২২ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর এ মামলার ২ হাজার ৮৪ পৃষ্টার অভিযোগপত্র প্রদান করে পিবিআই। যাতে বাবুল আকতারসহ ৭ জনকে আসামী করা হয়। গত ১৩ মার্চ আদালত চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

 

 

 

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর