মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

আদালত কক্ষ থেকে লোহার খাঁচা অপসারণ চেয়ে লিগ্যাল নোটিস

নিজস্ব প্রতিবেদক

আদালতের এজলাস কক্ষ থেকে লোহার খাঁচার অপসারণ করতে সরকারকে আইনি নোটিস দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের ১০ জন আইনজীবী। গতকাল রেজিস্ট্রি ডাকযোগে আইন সচিব, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক বরাবর এ নোটিস পাঠানো হয়। নোটিসে সংবিধানের ৩৫ (৫) অনুচ্ছেদসহ আন্তর্জাতিক বিধিবিধান অনুযায়ী মৌলিক অধিকার বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নোটিস পাওয়ার চার সপ্তাহের মধ্যে আদালতের এজলাস কক্ষ থেকে লোহার খাঁচা অপসারণ করার অনুরোধ করা হয়েছে। অন্যথায় মৌলিক অধিকারের সুরক্ষার্থে হাই কোর্টে রিট আবেদন দায়ের করা হবে বলে উল্লেখ করা হয়। নোটিস পাঠানো ১০ আইনজীবী হলেন- জি এম মুজাহিদুর রহমান, মুহাম্মদ মিসবাহ উদ্দিন, মো. জোবায়দুর রহমান, মোহাম্মদ নোয়াব আলী, আজিমুদ্দিন পাটোয়ারী, মোহাম্মদ সাজ্জাদ সারোয়ার, মো. মুজাহিদুল ইসলাম, মোহাম্মদ সাদ্দাম হোসেন, মোহাম্মদ মিজানুল হক ও আবদুল্লাহ সাদিক।

নোটিসে বলা হয়, দেশের সিংহভাগ আইন ও আদালতের ব্যবস্থা এবং অবকাঠামো ব্রিটিশ শাসনামলে তৈরি। আদালতে আসামি হাজিরার জন্য কাঠগড়ার প্রচলন ব্রিটিশ আমলে শুরু হয়। তবে দুর্ধর্ষ আসামি, ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতাসংগ্রামীদের ডান্ডাবেড়ি পরিয়ে আদালতে হাজির করানো হতো। বিচার শেষে দোষীকে লোহার খাঁচায় বন্দি করে রাখা হয়েছে- এমন ইতিহাস রয়েছে। কিন্তু বিচার চলাকালে আদালতে লোহার খাঁচায় বন্দি করে রাখার কোনো ইতিহাস পাওয়া যায় না। ভারতেও সাধারণ আদালতের কাঠগড়ায় লোহার খাঁচার ব্যবহার নেই। আমাদের দেশের কোনো আইনে কাঠগড়ায় লোহার খাঁচার ব্যবহার নিয়ে বিধান নেই।

নোটিসে আরও বলা হয়, দেশি-বিদেশি আইন, আন্তর্জাতিক বিধিবিধান ও উচ্চ আদালতের নজিরগুলো পর্যালোচনায় দেখা যায়, আদালতে কাঠগড়ার পরিবর্তে লোহার খাঁচার ব্যবহার অমানবিক। বাংলাদেশের সংবিধানের ৩৫ (৫) অনুচ্ছেদ, আন্তর্জাতিক বিধিবিধান ও প্রিন্সিপাল অব প্রিজামশন অব ইনোসেন্সের পরিপন্থী। মানুষের স্বাভাবিক মর্যাদা সমুন্নত রাখতে ও মৌলিক অধিকার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আদালতে লোহার খাঁচা অপসারণ একান্ত প্রয়োজন।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর