শনিবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে ডিম-আলু-পিঁয়াজ

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাড়তি দামেই বিক্রি হচ্ছে ডিম-আলু-পিঁয়াজ

ভোক্তাপর্যায়ে ডিম-আলু-পিঁয়াজের দাম সহনীয় রাখতে নির্ধারিত দাম বেঁধে দেয় সরকার। গত ১৪ সেপ্টেম্বর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক নির্দেশনায় প্রতি পিস ডিমের দাম ১২ টাকা, প্রতি কেজি আলু ৩৫ থেকে ৩৬ টাকা এবং ৬৫ টাকা দরে প্রতি কেজি পিঁয়াজ বিক্রির নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু সরকারের এ নির্দেশনা কেউই মানছে না। উল্টো দফায় দফায় দাম বাড়িয়ে বিক্রি করা হচ্ছে এ পণ্যগুলো। গতকাল রাজধানীর মালিবাগ, রায়েরবাগ কাঁচাবাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। বাজারে প্রতি কেজি দেশি পিঁয়াজ ১১০ টাকা এবং ভারতীয় পিঁয়াজ ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি পিস ডিমের দাম রাখা হচ্ছে ১৫ টাকা। ডিমের মান ও সাইজভেদে প্রতি হালি ডিম কিনতে গুনতে হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা। এদিকে খুচরাপর্যায়ে ৩৫ টাকা কেজি দরে আলু বিক্রির নির্দেশনা থাকলেও তা উপেক্ষা করে ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি আলু। বাজারে সবকিছুর লাগামহীন দামের কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ক্রেতারা। তাদের অনেকেই বাজারের এই অবস্থার জন্য সরকারের মনিটরিং ব্যবস্থাকে দায়ী করেছেন। বাজার করতে আসা একটি বেসরকারি ব্যাংকে গার্ডের চাকরি করা হানিফ মাহমুদ বলেন, কি বলব, আমাদের কিছুই বলার নেই। আমাদের মরা ছাড়া উপায় নেই। সবকিছুর দাম দিন দিন বাড়ছে। কোনো কিছুরই দাম কমার লক্ষণ নেই। দাম বাড়ালে এরা মুহূর্তেই দাম বাড়িয়ে বিক্রি করেন, কিন্তু দাম কমালে এরা কমায় না। সরকার যেন কিছুই করতে পারছে না। কিছুতেই যেন সিন্ডিকেটের ভূত পিছু ছাড়ছে না। সবকিছুতেই শুনি সিন্ডিকেট।

এদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন, তারা কোনো কিছুই কম দামে কিনতে পারছেন না। সবকিছুই আড়ত থেকে উচ্চমূল্য দিয়ে কিনতে হচ্ছে। তাই খুচরা বিক্রি করতে গেলে একটু বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। আড়ত থেকে দাম না কমালে ভোক্তাপর্যায়ে দাম কমানো সম্ভব নয়।

সবজির বাজারে দেখা যায়, প্রতি কেজি করল্লা ৮০ টাকা, ঢেঁড়স ৭০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকা, ধুন্দল ৮০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, শসা ৫০ টাকা, লাউ প্রতিটি ৬০ থেকে ৯০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। লেবুর হালি ২০ থেকে ৪০ টাকা, ধনে পাতার কেজি ৩০০ টাকা, কলার হালি ৩০ টাকা, জালি কুমড়া ৬০ টাকা, মিষ্টিকুমড়ার কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কাঁচামরিচ ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। ছোট বাঁধাকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ছোট ফুলকপি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, প্রতি কেজি মুলা ৬০ টাকা, শিম ১৪০ থেকে ১৬০ টাকা, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা, কচুরমুখী ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে লালশাকের আঁটি ২০ টাকা, লাউ শাক ৪০ টাকা, মুলা শাক ১৫ টাকা, পালং শাক ২৫ টাকা, কলমি শাক ১০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।

বাজারে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ থেকে ২০০ টাকা দরে। গত সপ্তাহেও একই দামে বিক্রি হয়েছে বলেও জানান বিক্রেতারা। বাজারে গরুর মাংস কেজিপ্রতি ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস কেজিপ্রতি ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চাষের শিং মাছের কেজি (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা। প্রতি কেজি রুই মাছের দাম বেড়ে (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, মাগুর ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা, মৃগেল ৩০০ থেকে ৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি পাঙাশ ২০০ থেকে ২৫০ টাকা, চিংড়ি ৮০০ থেকে ১ হাজার টাকা, বোয়াল প্রতি কেজি ৬০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, কাতলা ৪০০ থেকে ৮০০ টাকা, পোয়া ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কই ২৪০ থেকে ২৫০ টাকা, মলা ৪৫০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১ হাজার ২০০ টাকা, কাচকি মাছ ৬০০ টাকা এবং পাঁচমিশালি মাছ ২২০ টাকা, রূপচাঁদা ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর