শনিবার, ২৮ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

শিল্পকলায় গল্পনাটক ‘বোধ’

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

শিল্পকলায় গল্পনাটক ‘বোধ’

সংলাপ গ্রুপ থিয়েটারের প্রযোজনায় শিল্পকলা একাডেমিতে মঞ্চায়ন হয়েছে ভিন্নধর্মী গল্পের নাটক ‘বোধ’। গতকাল ছুটির দিনের সন্ধ্যায় একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার পরীক্ষণ থিয়েটার হলে মঞ্চায়ন হয় নাটকটি। মুন্সি প্রেমচাঁদের গল্প অবলম্বনে স্বপন দাসের নাট্যরূপে নাটকটির নির্দেশনায় ছিলেন মোস্তফা হীরা।

কাহিনি অনুযায়ী, একটি বোধহীন সমাজব্যবস্থায় আমরা বসবাস করছি। এই নাটকের ঘিসু ও মেধো এর বাইরে নয়। পিতা-পুত্র (ঘিসু ও মেধো) বেঁচে থাকার লড়াইয়ে পর্যুদস্ত। ক্ষুধা তাদের করে তুলেছে অমানবিক, স্বার্থপর ও পশু সম। বেঁচে থাকার লড়াইয়ে সম্পর্ক বন্ধন কোনো কার্যকর ভূমিকা রাখে না তাদের জীবনে। তাই নাটকে দেখা যায় সামান্য কয়েকটি পোড়া আলু নিয়ে তাদের লড়াই। নিজের সন্তানসম্ভবা পুত্রবধূর অতি সামান্য খাদ্য কেড়ে নিতে ঘিসু উদ্বুদ্ধ করে নিজের পুত্র মেধোকে। মেধোও বোধহীন এক জন্তুর মতো কেড়ে নেয় বধূর সেই সামান্য খাবার। ক্ষুধা তাদের এমনভাবে তাড়িত করে যে, নিজের পুত্রবধূকে মৃত ঘোষণা দিয়ে কিছু পয়সা পাওয়ার লোভ সামলাতে পারে না ঘিসু। পুত্র মেধোও তা সমর্থন করে। যে কোনোভাবে বেঁচে থাকাটাই যেন তাদের একমাত্র লক্ষ্য। অথচ কেন তারা আজ দরিদ্র, কেন পাচ্ছে না দুমুঠো খাবার? এর জন্যই সমাজ কতটা দায়ী? কেন তারা বৈষম্যের শিকার? এ নিয়ে ভাবে না তারা। কোনো দ্রোহ নেই। নিয়তির ওপরে সব ছেড়ে দিয়েছে। এদের কি আর সম্পূর্ণ মানুষ বলা চলে? অবশ্য নাটকের শেষ দৃশ্যে স্বপ্নের ঘোরে ঘিসু-মেধোকে দ্রোহী হতে দেখা যায়। ঘেন্না করে এই সমাজ, সমাজপতিদের। মেধো তার সন্তানকে বোধসম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চায়। এভাবেই এগিয়ে গেছে নাটকটির কাহিনি।

বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন হাবিবুর রহমান, শাকিল আহমেদ, অয়ালিদ চৌধুরী রানা, মোনালিসা, মাসুদ আলম বাবু প্রমুখ।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর