কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিভিন্ন প্রকারের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, ক্যাম্পের মাঝি ও সাধারণ রোহিঙ্গাকে খুন এবং অপহরণ ও অগ্নিসংযোগ সবকিছুই হয়ে থাকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যকেন্দ্রিক সন্ত্রাসী গ্রুপ আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা)-এর প্রধান আতাউল্লাহ জুনুনির নির্দেশে। বর্তমানে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে দেড় শতাধিক অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী সক্রিয় রয়েছে। ২০১৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ৫ হাজার রোহিঙ্গাকে আরসার সদস্য করা হয়েছিল, যাদের অধিকাংশই আরসা থেকে সরে এসেছে। র্যাবের অভিযানে গ্রেফতার আরসার ওলামা বডি ও টর্চার সেলের প্রধান ওসমান প্রকাশ সালমান ও ইউনুস প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এ তথ্য র্যাবের কাছে স্বীকার করেছে। র্যাব হেডকোয়ার্টারের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক খন্দকার আল মঈন গতকাল দুপুরে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন। খন্দকার আল মঈন জানান, সাধারণ রোহিঙ্গা এবং আরসার সদস্য তাদের কমান্ড বা নির্দেশ না মানলে তাদেরকে গোপন আস্তানায় টর্চার সেলে নিয়ে এসে বিভিন্নভাবে নির্যাতন করে থাকে আরসার অস্ত্রধারী ক্যাডাররা। এসবই হয়ে থাকে আরসার চিফ কমান্ডার আতাউল্লাহ জুনুনির নির্দেশে। বৃহস্পতিবার দিবাগত গভীর রাতে র্যাব-১৫ এর একটি টিম উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পসংলগ্ন গহিন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে এ দুই আরসার অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করে। অভিযান চলাকালে র্যাব আরসার একটি টর্চার সেলেরও সন্ধান পেয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে বিদেশি অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে আরসার শীর্ষ কমান্ডারদের একজন আরসার ওলামা বডি ও টর্চার সেলের প্রধান ওসমান প্রকাশ সালমান, অপরজনের নাম মো. ইউনুস। গ্রেফতার ওসমান গত বছর বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি সীমান্ত এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান চলাকালে গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই-এর কর্মকর্তা হত্যাকাণ্ডসহ রোহিঙ্গা ক্যাম্পসংলগ্ন এলাকায় বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর ও আলোচিত হত্যাকাণ্ডে সরাসরি জড়িত।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে এ পর্যন্ত ৭৩ জন আরসার অস্ত্রধারী সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।