রবিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা
প্রবারণা পূর্ণিমা

রংবেরঙের ফানুস আর আতশবাজিতে আলোকিত পাহাড়

রাঙামাটি প্রতিনিধি

রংবেরঙের ফানুস আর আতশবাজিতে আলোকিত পাহাড়

সন্ধ্যা নামতেই রংবেরঙের ফানুস আর চোখ ধাঁধানো আতশবাজিতে আলোকিত হয়ে ওঠে রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের পাহাড়ি জনপদ। একই সঙ্গে পাহাড়ি বিহারগুলো থেকে বাতাসে ভাসতে থাকে সাধু সাধু সাধু ধ্বনি। সব মিলে অধিবাসীদের আনন্দ-উৎসবে এমন মাতোয়ারা গোটা পাহাড়। গতকাল থেকে তিন পার্বত্য জেলা রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানে শুরু হয়েছে প্রবারণা উৎসব। এ উৎসব শেষ হবে আজ। গতকাল সন্ধ্যা থেকে সারা রাত উৎসবে মেতে থাকে পাহাড়ি জনপদ। প্রসঙ্গত, প্রবারণা পূর্ণিমা বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব। পার্বত্যাঞ্চলে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর মধ্যে চাকমা, মারমা ও রাখাইনরা নানা আচার অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পালন করেন এ উৎসব। দুই দিনের এ পূর্ণিমা উৎসবে একটানা চলে আনন্দ-উৎসব আর পূজা-প্রার্থনা। এ উপলক্ষে আগে থেকেই বৌদ্ধ পতাকা আর কল্পতরু হাতে দলে দলে যোগ দিয়েছেন বিভিন্ন এলাকার বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী নারী-পুরুষ। রাঙামাটি রাজ বনবিহারের উপাসক-উপাসিকা পরিষদ আহ্বায়ক গৌতম দেওয়ান জানান, ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদির মধ্যে রাঙামাটি রাজ বনবিহার, রাঙামাটি বৌদ্ধাঙ্কুর বৌদ্ধ বিহার, আনন্দ বিহার, সাক্ষ্যমণি বৌদ্ধ বিহার, ধনপাতা বৌদ্ধ বিহারসহ কয়েকটি বিহারে সংঘ দান, অষ্ট পরিষ্কার দান, বুদ্ধমূর্তি দান, মধু দানকার্য সম্পাদন করা হয়। এ সময় পুণ্যার্থীরা বৌদ্ধ ভিক্ষুর কাছ থেকে পঞ্চশীল গ্রহণ করেন। প্রদীপ প্রজ্বলন করা হয় বুদ্ধমূর্তির সামনে। গতকাল বিকাল ৪টায় শুরু হয় মঙ্গল প্রার্থনা ও আকাশ প্রদীপ প্রজ্ব¡লনসহ বিভিন্ন ধর্মীয় কর্মসূচি। তাই বিকাল হওয়ার আগে মোমবাতি ও ফানুস হাতে বৌদ্ধ বিহারে হাজির হন বিভিন্ন বয়সের নারী-পুরুষ। মোমবাতির আলোয় রঙিন কাগজের ফানুস আর আতশবাজিতে সজ্জিত হয় পুরো আকাশ। এ সময় সবার মুখে একটাই শব্দ উচ্চারিত হয়- সাধু সাধু সাধু।

রাঙামাটি রাজ বনবিহারে সংরক্ষিত বনভান্তের মোমিতেও পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন ভক্তরা। ধর্মীয় নির্দেশনা দেন বৌদ্ধ ভিক্ষুরা।

সর্বশেষ খবর