রবিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০২৩ ০০:০০ টা

বিদ্যুৎবিহীন বাঁশখালী

রেজা মুজাম্মেল, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলা গত পাঁচ দিন ধরে বিদ্যুৎশূন্য। ঘূর্ণিঝড় হামুনের তাণ্ডবে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় উপকূলীয় উপজেলাটিতে। এ কারণে অন্ধকারে দিনাতিপাত করতে হচ্ছে উপজেলা মানুষদের। তবে সরবরাহ লাইন মেরামতের পর গতকাল শুধু পৌরসভা এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু ইউনিয়ন-গ্রাম পর্যায়ে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া হয়নি। ফলে দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে মানুষদের। কাজ করছে না মোবাইল নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেট। উপজেলার ছুনয়া, গণ্ডামারা, কাথারিয়া, পুঁইছড়ি, শেখের খিল, বাহাড়ছড়া ইউনিয়নের বিদ্যুৎ লাইনগুলো বেশি ক্ষতি হয়।

জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় হামুনের তাণ্ডবে গত মঙ্গলবার রাত ৮টায় এ উপজেলার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ভেঙে যায় ঘর-বাড়ি, দোকানপাট। বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে পড়ে বিভিন্ন ঘর-বাড়িতে। সড়কে পড়ে থাকে বিদ্যুতের খুঁটি ও তার। ক্ষতিগ্রস্ত হয় ফসলি জমি ও ক্ষেতখামার। ভেঙে যায় উপজেলার একমাত্র উপকূলীয় পাবলিক লাইব্রেরি।

বাহাড়ছড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা জাকির হোসেন বলেন, গত পাঁচ দিন ধরে বিদ্যুৎ নেই। ফলে মোবাইল ও ইন্টারনেট সংযোগও বিচ্ছিন্ন। অনেকটা কষ্ট ও দুর্ভোগের মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে।

বাঁশখালী পল্লী বিদ্যুতের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার রীশু কুমার ঘোষ বলেন, উপজেলায় বিদ্যুৎ সংযোগের লাইন ব্যাপক আকারে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গত বুধবার থেকে লাইনগুলো মেরামত করে পৌরসভা এলাকায় বিদ্যুৎ দেওয়া হয়েছে। এখন ইউনিয়ন পর্যায়ে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা চলছে। এলোপাতাড়িভাবে গাছ পড়ায় বিদ্যুতের খুঁটিগুলো ভেঙে যায়। ফলে মেরামতে সময় লাগছে।

বাঁশখালী পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা যায়, ঘূর্ণিঝড় হামুনের তাণ্ডবে বাঁশখালী উপজেলার ৩৩ কেভি ও ১১ কেভি লাইনের বেশি ক্ষতি হয়। এর মধ্যে ৩৩ কেভি লাইনের খুঁটি ভাঙে চারটি, টাওয়ারের খুঁটি ভাঙে একটি, খুঁটি পড়ে যায় ২২টি, হেলে পড়ে ১৮টি, খুঁটিতে গাছ পড়ে ১৪০টিতে, ব্রেস ভাঙে ৬০টি, ইনসুলেটর ভাঙে ২০৪টি ও তার ছিঁড়ে ১২ স্পটে। অন্যদিকে ১১ কেভি লাইনে খুঁটি ভাঙে ১৬৫টি, মাটিতে পড়ে যায় ৫০টি, হেলে পড়ে ২০৩টি, গাছ পড়ে ১৫২০টি, ব্রেস ভাঙে ১০৮টি, ইনসুলেটর ভাঙে ৩৬২টি, তার ছিঁড়ে ১২০০ স্পটে, ট্রান্সফরমার নষ্ট হয় ৪৫টি, মিটার ভাঙে ৯৬০টি ও সার্ভিস ড্রপ ছিঁড়ে ৬৫৪টি। তবে গত বুধবার থেকে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ সংযোগ লাইন মেরামতে কাজ শুরু করে। ইতোমধ্যে পৌরসভার ক্ষতিগ্রস্ত লাইন সংস্কার করে বিদ্যুৎ দেওয়া হয়। তবে ইউনিয়ন ও গ্রাম পর্যায়ে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে আরও সময় লাগবে।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর