রাজধানীর পল্টন এলাকায় ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশ চলাকালে পুলিশ সদস্য পারভেজকে পিটিয়ে হত্যা করার মামলায় আত্মগোপনে থাকা বিএনপির চার নেতা-কর্মীকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের লক্ষ্মীপুরা এলাকা থেকে গ্রেফতার করেছে জিএমপি পুলিশ। গতকাল সকালে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের (জিএমপি) সদর দফতরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান জিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ইব্রাহীম খান। গ্রেফতাররা হলেন- শেরেবাংলা নগর থানা বিএনপির আমতলা ইউনিটের সদস্য ও কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জ থানার হাইধনখালী গ্রামের মো. ইমরান (২৪), একই ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক ও শেরপুর জেলা সদরের চান্দেরনগর গ্রামের মো. বাবুল মিয়া (৪২), বরিশালের এয়ারপোর্ট থানার বকশীচর গ্রামের মো. মনির হোসেন (২৮) ও আমতলা ইউনিট বিএনপির সদস্য ও কুমিল্লার মুরাদনগর থানার জানগর গ্রামের বাদল দাস (৬০)। জিএমপির উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ইব্রাহীম খান বলেন, ২৮ অক্টোবর ঢাকার পল্টন এলাকায় বিএনপির সমাবেশ চলাকালে পুলিশ সদস্য পারভেজকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

 এই হত্যায় জড়িত আসামিরা গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সদর থানা এলাকায় আত্মগোপনে আছে- এমন তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় গাজীপুর সদর থানার লক্ষ্মীপুরা এলাকা থেকে ইমরানকে গ্রেফতার করা হয় এবং ঘটনার সময় পরিহিত গেঞ্জি, প্যান্ট ও ব্রেসলেট জব্দ করা হয়। পরে ইমরানের দেওয়া তথ্যমতে ঘটনার সময় প্রাপ্ত ভিডিও ফুটেজ, ছবি এবং আসামির মোবাইল ফোন বিশ্লেষণ করে ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বাবুল মিয়া, মনির হোসেন ও বাদল দাসকে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে ইমরান পুলিশ সদস্যদের ওপর আক্রমণের ঘটনার সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। এ সময় তিনি ঘটনায় জড়িত অন্যান্য সহযোগীদের নাম প্রকাশ করেন। বাবুল মিয়ার নেতৃত্বে পুলিশ কনস্টেবল পারভেজ হত্যার পর গ্রেফতার এড়াতে তারা গাজীপুর সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে ছিলেন। গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদন করে তাদের আদালতে পাঠানো হবে বলে জানান এই পুলিশ কর্মকর্তা।