দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে রেল যাবে পর্যটন শহর কক্সবাজার। শুরুর দিকে এ ট্রেনে চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে যাত্রী উঠার ব্যবস্থা ছিল না। তবে গতকাল নতুন এ সিদ্ধান্তে চট্টগ্রাম স্টেশন থেকে দুটি কোচ যুক্ত করা হবে। আজ থেকে অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু করার কথা রয়েছে।  জানা যায়, চট্টগ্রাম থেকে রেলযোগে কক্সবাজার যাওয়ার জন্য দুটি কোচ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে- কোচ ‘ঘ’ (এসি চেয়ার) ও কোচ ‘ট’ (শোভন চেয়ার)। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত টিকিট বিক্রয় হবে এ দুটি কোচের। চট্টগ্রাম থেকে টিকিট ক্রয় করে চট্টগ্রামের যাত্রীরা রেলে উঠবেন। এসি ও নন এসি মিলে প্রায় ১১৫টি সিট বরাদ্দ রাখা হয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার শোভন চেয়ারের টিকিটের মূল্য ২৫০, স্নিগ্ধা ৪৭০, এসি ৫৬৫ ও এসি বার্থ ৮৪৫ টাকা। ১১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দোহাজারী-কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন উদ্বোধন করেন। ওই দিনই ১ ডিসেম্বর থেকে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল চলাচলের কথা ঘোষণা করা হয়। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের উপবিভাগীয় বাণিজ্য কর্মকর্তা তৌষিয়া আহমেদ বলেন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেলপথে চট্টগ্রাম থেকেও এসি ও নন এসি দুটি কোচ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। যাত্রীরা চট্টগ্রাম থেকে টিকিট কেটে রেলে উঠতে পারবে। রেলওয়ের পূর্বাঞ্চল সূত্রে জানা যায়, প্রায় ১৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয় এ রেললাইনটি। দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আনা উন্নতমানের নতুন ১৮টি কোচ সম্বলিত আন্তনগর ট্রেনটি চালানো হবে এ রুটে। প্রাথমিকভাবে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল পথে কোরিয়া থেকে আমদানিকৃত কোচ দিয়ে ৮১৩ ও ৮১৪ নম্বরের এক জোড়া আন্তনগর ট্রেন চালানো হবে। এটির আসন ৭৮০টি। সপ্তাহের সোমবার ও মঙ্গলবার ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। ট্রেনটি রাত ১০টা ৩০ মিনিটে কমলাপুর স্টেশন থেকে ছেড়ে পর দিন ভোর ৬টা ৪০ মিনিটে কক্সবাজার আইকনিক স্টেশনে পৌঁছাবে।  ৮ ঘণ্টা ১০ মিনিটের এ যাত্রা পথে শুধু ঢাকা বিমানবন্দর এবং চট্টগ্রাম স্টেশনে অপারেশনাল বিরতি করবে। একইভাবে দুপুর ১টায় কক্সবাজার ছেড়ে রাত ৯টা ১০ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছাবে। ঢাকা থেকে কক্সবাজারের রেল পথের দূরত্ব ৫৩৫ কিলোমিটার এবং চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজারের দূরত্ব ১৫০ দশমিক ৮৭ কিলোমিটার।