শনিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

ইলিশের আকাল ভোলায়

ভোলা প্রতিনিধি

ইলিশের আকাল ভোলায়

ভোলার মেঘনা নদীতে চলছে ইলিশের আকাল। অথচ এ সময় প্রচুর ইলিশ ধরা পড়ার কথা। কিন্তু বেশির ভাগ জেলেই নদী থেকে খালি হাতে ফিরছেন। দু-চারটি যা পাওয়া যাচ্ছে তা বিক্রি করে খরচের টাকা উঠছে না। ফলে ভোলার জেলেপল্লীগুলোয় চলছে হাহাকার। তবে মৎস্য বিভাগ বলছে, কিছুদিনের মধ্যে নদীতে প্রচুর ইলিশ পাওয়া যাবে। স্থানীয় জেলেরা জানান, প্রজনন মৌসুম হওয়ায় গত মাসে ২২ দিন নদীতে ইলিশ ধরা বন্ধ ছিল। ধারদেনা করে সংসার চালিয়েছেন তারা। আশা ছিল ২ নভেম্বর নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে। জেলেরা নদীতে যাবেন। প্রচুর মাছ পাবেন আর তাতে দেনা শোধ করবেন। কিন্তু নদী থেকে খালি হাতে ফিরছেন তারা। নাছির মাঝি ঘাটের মাছ ব্যবসায়ী আহসান কবির লিটন জানান, গত বছর এ সময় পর্যন্ত মাছ পেয়েছিলেন। এবারও আশা ছিল অনেক মাছ মাওয়া যাবে। নদীতে কাক্সিক্ষত মাছ নেই। জেলেদের মতো মাছ ব্যবসায়ীরাও এখন হতাশায় দিন কাটাচ্ছেন। তুলাতলি মাছঘাটের জেলে সফিউল্লাহ জানান, ১০ জন ভাগীদার নিয়ে নদীতে গিয়েছিলেন। ট্রলারের তেলসহ খরচ হয়েছে প্রায় ৩ হাজার টাকা। অথচ মাছ পেয়েছেন মাত্র ২ হাজার ২০০ টাকার। মেঘনাপাড়ের মাছঘাটগুলোয় খবর নিয়ে একই চিত্র পাওয়া গেছে। তাই জেলেদের চোখেমুখে এখন দুশ্চিন্তা আর হতাশার ছাপ। নদীতে মাছ না থাকায় পরিবার-পরিজন নিয়ে তারা চরম বিপাকে রয়েছেন। কীভাবে ঋণের টাকা শোধ করবেন সেই দুশ্চিন্তায় রয়েছেন ভোলার ২ লক্ষাধিক জেলে। ভোলার মেঘনা নদীর ইলিশা মাছঘাটে দেখা যায়, আড়তদাররা ইলিশের আশায় বসে আছেন। ঘাটে একের পর এক জেলেনৌকা ভিড়ছে। জেলেরা ঝুড়িতে যে মাছ বিক্রির জন্য নিয়ে আসছেন তার অধিকাংশ ছোট সাইজের ইলিশ ও অন্য মাছ। বড় সাউজের ইলিশের সংখ্যা কম। ইলিশের সংকটে জেলেদের পাশাপাশি আড়তদাররাও রয়েছেন বিপাকে। এদিকে ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম জানান, অভিযানের পর সাগরমোহনায় তুলনামূলক বেশি ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। কিছুদিনের মধ্যে নদীতেও প্রচুর ইলিশ পাওয়া যাবে বলে তিনি আশা করছেন। জেলা মৎস্য বিভাগের তথ্যমতে, গত বছর ভোলায় ইলিশ আহরণ হয়েছিল ১ লাখ ৭৮ হাজার মেট্রিক টন। এ বছর লক্ষ্যমাত্রা ১ লাখ ৯২ হাজার মেট্রিক টন।

এই রকম আরও টপিক

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর