শনিবার, ২৫ নভেম্বর, ২০২৩ ০০:০০ টা

সুপেয় পানির কষ্টের দিন ফুরাচ্ছে দুবলার চরে

র‌্যাব স্থাপিত ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট উদ্বোধন কাল

নিজস্ব প্রতিবেদক

পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের দুবলার চর মাছ আহরণের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু। হিন্দুধর্মের পুণ্যস্নান, রাসমেলা ও হরিণের জন্য বহুলপরিচিত হওয়ায় প্রতি বছর কয়েক লক্ষাধিক লোকের সমাগম হয় এ চরে। অথচ বিশুদ্ধ ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা না থাকায় মাওয়ালি, বাওয়ালি, বনজীবী, মৎস্যজীবীসহ দুবলার চরে আগত পর্যটকরা প্রায়ই চরম স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়েন। জনবিচ্ছিন্ন বালুময় এ চরে ছোট ছোট কূপ খনন করে সেখান থেকে পানি তুলে স্থানীয়দের ব্যবহার করতে হয়, যা স্বাস্থ্যসম্মত নয়। সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করার পর এবার এ এলাকায় বিশুদ্ধ পানির সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসে র‌্যাব। এ পরিপ্রেক্ষিতে দুবলার চরে বিশুদ্ধ ও সুপেয় পানির ব্যবস্থা করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় র‌্যাবের তত্ত্বাবধানে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপনের কার্যক্রম শুরু হয়। অতিমাত্রার লবণাক্ততা দূর করে জনসাধারণের মাঝে বিশুদ্ধ পানি পৌঁছে দিতে দক্ষ ইঞ্জিনিয়ারদের সহায়তায় কয়েকবারের চেষ্টায় এ ওয়াটার ট্রিটমেন্ট স্থাপনের কাজ শেষ করা হয়েছে। আগামীকাল এর উদ্বোধন করা হবে। এরই মধ্য দিয়ে দুবলার চরে সুপেয় পানির কষ্টের দিন ফুরাতে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) কর্নেল মো. মাহাবুব আলম ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপন কার্যক্রমের অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে দুবলার চর পরিদর্শন করেছেন। সে সময় র‌্যাব সদর দফতরের অন্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বনবিভাগের কর্মকর্তা, স্থানীয় জনপ্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, প্রতি বছরের মতো এ বছরও নভেম্বরে দুবলার চরকেন্দ্রিক হিন্দুদের রাস উৎসব হওয়ার কথা রয়েছে। এ রাসমেলায় পুণ্যার্থী ও পর্যটকের উপস্থিতিতে আগামীকাল (রবিবার) র‌্যাবের মহাপরিচালক অতিরিক্ত আইজিপি এম খুরশীদ হোসেন ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টটি উদ্বোধন করবেন। তিনি আরও বলেন, দুবলার চরে ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপনের মাধ্যমে দুবলার চর ও আশপাশ এলাকার মৎস্যজীবীসহ অন্যান্য পেশাজীবী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, ব্যবসায়ী, পুণ্যার্থী, পর্যটক ও সাধারণ মানুষের বিশুদ্ধ ও সুপেয় পানির সংকট দূর করা সম্ভব হবে। উন্নতমানের এ ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্টের মাধ্যমে প্রতিদিন গড়ে ২৪ হাজার লিটার পানি পরিশোধন করা যাবে। পানি সংগ্রহের স্থান থেকে ১৫টি ডিস্ট্রিবিউশন পয়েন্টের মাধ্যমে লক্ষাধিক মানুষ বিশুদ্ধ ও সুপেয় পানির সুবিধা ভোগ করবে। ইতঃপূর্বে র‌্যাবই সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত করে সুন্দরবন ও এর আশপাশ এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছে।

দুবলার চরবাসীর জন্য বিশুদ্ধ ও সুপেয় পানির ব্যবস্থাকরণে র‌্যাব ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপন করে পুনরায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করল।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর