কোথাও কোনো বাধা ছিল না। গাছে গাছে পাখা মেলেছে হরেক রঙের অগণিত প্রজাপতির ঝাঁক। বিচিত্র ও মনোমুগ্ধকর গায়ের রং। দেখতে ভিড় জমান হাজারো দর্শনার্থী। গতকাল দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রজাপতি মেলার ১৩তম আসরে দেখা মিলেছে এমন চিত্র। এতে একসঙ্গে শত শত প্রজাপতির চঞ্চল ওড়াউড়ি দেখা গেছে। ‘উড়লে আকাশে প্রজাপতি, প্রকৃতি পায় নতুন গতি’-স্লোগানকে ধারণ করে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের কীটতত্ত্ব শাখার উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তন চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়েছে এ মেলা। এ জন্য ক্যাম্পাসকে সাজানো হয়েছিল বর্ণিল সাজে। ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে প্রজাপতির ছবি সংবলিত ব্যানার-ফেস্টুন, পোস্টার টাঙানো হয়। ছুটির দিন হওয়ায় মৃদু শীতকে উপেক্ষা করে সকাল থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে হাজারো প্রজাপতিপ্রেমীরা মেলায় ছুটে আসেন। তরুণ-তরুণী ও বয়স্কদের পাশাপাশি মেলায় শিশু-কিশোরদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো।

তাদের জন্য প্রজাপতিবিষয়ক ছবি আঁকা প্রতিযোগিতা, আলোকচিত্র প্রদর্শনী, রচনা প্রতিযোগিতা, প্রজাপতির আদলে ঘুড়ি ওড়ানো প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। এ ছাড়া বারোয়ারি বিতর্ক এবং প্রজাপতিবিষয়ক ডকুমেন্টারি প্রদর্শন করা হয়। ওয়াজেদ মিয়া বিজ্ঞান গবেষণা কেন্দ্রে এবং প্রজাপতি পার্কে জীবন্ত প্রজাপতি দর্শনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল।

সকাল ১১টায় প্রজাপতি ও বেলুন উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন করেন জাবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. নূরুল আলম। সার্বিক বিষয়ে প্রজাপতি মেলার আহ্বায়ক অধ্যাপক মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, প্রজাপতি যে শুধু সৌন্দর্য ছড়ায় তা নয়, এরা পরাগায়ণের মাধ্যমে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ভূমিকা পালন করে। আমাদের উচিত প্রজাপতিসহ সব ধরনের প্রাণীকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করা।