শুক্রবার, ৫ জানুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

কবজি কাটা গ্রুপের হোতাসহ গ্রেফতার ৯

নিজস্ব প্রতিবেদক

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও আসন্ন নির্বাচনে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টায় জড়িত দুই সন্ত্রাসী গ্যাংয়ের নয়জনকে বুধবার রাতে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-২। তারা হলেন ‘কবজি কাটা গ্রুপে’র মূল হোতা মো. হায়াত ওরফে টাকলা হায়াত, মো. সাগর, মো. ইসমাইল হোসেন ও মো. সুমন। আরেক সন্ত্রাসী গ্যাং ‘বিরিয়ানি সুমন গ্রুপে’র হোতা মো. সুমন ওরফে বিরিয়ানি সুমন, তার সহযোগী মো. বাদল, মো. আকাশ, মো. রাব্বি ও মো. রাসেল। তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ দেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। বুধবার রাতে মোহাম্মদপুরের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গতকাল রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংস্থাটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। গ্রেফতারকৃতরা বিভিন্ন গাড়ির হেলপার ও ড্রাইভার, দোকানের কর্মচারী, নির্মাণশ্রমিক, পুরান মালামাল ক্রেতা, সবজি বিক্রেতা ইত্যাদি পেশার আড়ালে মূলত মোহাম্মদপুর ও আশপাশ এলাকায় ডাকাতি, ছিনতাই ও চাঁদাবাজি করে আসছিল। এ ছাড়া নির্বাচন কেন্দ্র করে বিভিন্ন এলাকায় ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী হিসেবে সহিংসতা করার পরিকল্পনা করছিল। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা আগের বিভিন্ন অপরাধ এবং ভবিষ্যৎ সহিংসতা সৃষ্টির পরিকল্পনার বিষয়ে জানিয়েছে।

তিনি বলেন, সম্প্রতি মোহাম্মদপুরে ছিনতাই, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম লক্ষ্য করা যায়। বিভিন্ন গ্রুপের সন্ত্রাসীরা নিজেদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে এক গ্রুপ অন্য গ্রুপের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়ে মারামারি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম করার প্রবণতাও লক্ষ্য করা যায়। মোহাম্মদপুর ও আশপাশ এলাকায় বেশ কয়েকটি ছিনতাই, চাঁদাবাজি ও অন্যান্য সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড সম্পর্কে তথ্য পায় র?্যাব। এরপর র?্যাবের টহল ও গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়। র‌্যাব কর্মকর্তা আল মঈন বলেন, গ্রেফতার চারজন কবজি কাটা গ্রুপ এবং পাঁচজন বিরিয়ানি সুমন গ্রুপের সদস্য। তারা মোহাম্মদপুর, আদাবর, বেড়িবাঁধ ও ঢাকা উদ্যান এলাকায় চাঁদাবাজি, ছিনতাই, ডাকাতিসহ অন্যান্য সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করত। এ গ্রুপের সন্ত্রাসীরা একাকী পথচারীদের ঘিরে ধরে চাপাতিসহ ধারালো অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী ছিনতাই করে দ্রুত পালিয়ে যায়। তারা বিভিন্ন সময় চাঁদাবাজিসহ আধিপত্য বিস্তার কেন্দ্র করে দেশি ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারামারিসহ বিভিন্ন ধরনের সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করত। তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ব্যক্তির স্বার্থ হাসিলের জন্য টাকার বিনিময়ে ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী হিসেবেও কাজ করত। র?্যাবের এ মুখপাত্র বলেন, আসন্ন সংসদ নির্বাচন কেন্দ্র করে তারা মোহাম্মদপুরে আধিপত্য বিস্তারের পাশাপাশি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পরিকল্পনা করছিল। এ ছাড়া রাজধানীসহ পাশের অঞ্চলগুলোয় পেশিশক্তি প্রদর্শনের জন্য ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী হিসেবে বিভিন্ন নির্বাচনি এলাকায় যেত। মূলত নির্বাচন কেন্দ্র করে বিভিন্ন এলাকায় ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী হিসেবে পেশিশক্তি প্রদর্শন ও সহিংসতার পরিকল্পনা করছিল।

সর্বশেষ খবর