রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ ০০:০০ টা

দুই তীর্থস্থানের পবিত্রতা রক্ষায় ১০ দফা দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র দুই তীর্থস্থান চন্দ্রনাথ ও বাড়বকুন্ড ধামের পবিত্রতা রক্ষায় ১০ দফা দাবি জানিয়েছে চন্দ্রনাথ ধাম রক্ষা পরিষদ এবং বাড়বকুন্ড তীর্থধাম উন্নয়ন কমিটি। গতকাল দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে চন্দ্রনাথ ধামের পবিত্রতা বিনষ্টের চেষ্টা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক উসকানিমূলক প্রচারণা, দেবোত্তর সম্পত্তি আত্মসাতের চেষ্টায় নানামুখী ষড়যন্ত্র এবং বাড়বকুন্ড তীর্থধামের অধিষ্ঠাত্রী দেবী শ্রী শ্রী জ্বালামুখী কালী বিগ্রহের নামীয় দেবোত্তর সম্পত্তি জাল জালিয়াতির মাধ্যমে দখলের চেষ্টা, সেবায়েতদের ওপর হামলা ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের প্রতিবাদ জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বাড়বকুন্ড শ্রী শ্রী জ্বালামুখী কালী বিগ্রহের সেবায়েত চিরকুমারী ব্রহ্মচারিণী স্মৃতিলতা ভারতী, সনাতন বিদ্যার্থী সংসদের প্রতিষ্ঠাতা কুশল বরণ চক্রবর্তী, সাংবাদিক আয়ান শর্মা, বিপ্লব পার্থ, বাংলাদেশ গীতা শিক্ষা কমিটির সাধারণ সম্পাদক শুভাশীষ শর্মা, সনাতনী জাগরণী সংঘের সভাপতি কাঞ্চন আচার্য্য, জাগো হিন্দু পরিষদ চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি রুবেল কান্তি দে, হিন্দু মহাজোট চট্টগ্রাম জেলার সভাপতি যিশু রক্ষিতসহ চট্টগ্রামে বিভিন্ন সনাতনী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে ১০ দফা দাবি তুলে ধরেন চন্দ্রনাথ ধাম রক্ষা পরিষদের আহ্বায়ক চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী। উল্লেখযোগ্য দাবিগুলো হলো- দেবোত্তর সম্পত্তির সেবায়েতদের জীবনের নিরাপত্তা প্রদান, দেবোত্তর সম্পত্তি সংরক্ষণ ও বেদখলমুক্ত করতে খসড়া আইনের বিষয়ে হিন্দু সংগঠনের প্রস্তাবিত সংশোধনী যুক্ত করে অবিলম্বে আইন পাস, সীতাকুন্ড স্রাইন কমিটির পক্ষ থেকে স্থানীয় হিন্দুদের ও সনাতনী স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সঙ্গে সমন্বয় করে দেবোত্তর সম্পত্তির এলাকা চিহ্নিত করে নিরাপত্তা বেষ্টনী নির্মাণ, অবাধ যাতায়াত নিয়ন্ত্রণ ও বেদখলীয় সম্পত্তি পুনরুদ্ধারের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ, স্রাইন কমিটির স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিতে যাবতীয় হিসাব-নিকাশ জনসম্মুখে প্রকাশ করা, চন্দ্রনাথ ধাম ও বাড়বকুন্ড তীর্থ ধামকে জাতীয় তীর্থস্থান ঘোষণা করে সংরক্ষণের জন্য সরকারিভাবে যাবতীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, উসকানিমূলক সাম্প্রদায়িক প্রচারণা বন্ধ করা এবং এসব কর্মকান্ডের সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা, সারা দেশে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনের বলি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার এবং নিঃশর্ত মুক্তি, বাড়বকুন্ড তীর্থধামে স্থায়ী নিরাপত্তা চৌকি প্রতিষ্ঠা। এসব দাবি পূরণ না হলে দাবি আদায়ে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলনের ঘোষণা দেন উপস্থিত নেতারা।

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর