বাতাসে পিঠার মিষ্টি গন্ধ। মাঠজুড়ে পিঠার স্টল। মেয়েরা খোঁপায় গাঁদা ফুল ও বাহারি রঙের শাড়ি এবং ছেলেরা রঙিন পাঞ্জাবি পরে ও মাথায় গামছা বেঁধে ঘুরে বেড়াচ্ছে। শীতের সুস্বাদু পিঠা আর শিক্ষার্থীদের এমন বসন্তসাজে রঙিন হয়ে উঠেছিল ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ ক্যাম্পাস। পিঠাপুলি খাওয়া আর হাসি-আনন্দে মেতে উঠেছিল কলেজের শিক্ষার্থীরা। ফাগুন বরণ উপলক্ষে আয়োজিত পিঠা উৎসবে ভিক্টোরিয়া কলেজের ডিগ্রি শাখার খেলার মাঠ মুখরিত হয়ে উঠেছিল গতকাল। এতে শত রকমের পিঠার প্রদর্শনী করে শিক্ষার্থীরা। কলেজের ২২টি বিভাগ, সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ বিভিন্ন সংগঠন মেলায় ২৮টি পিঠার স্টল সাজায়।

 কলাপিঠা, তেলপোয়া, দুধরাজ, ফুলঝুরি, ফুলপিঠা, পুলিপিঠা, পাটিসাপটা, বিবিয়ানা, গোলাপ পিঠা, সেমাই পিঠা, জামাই পিঠা, ছাঁচপিঠা, ছিটকা পিঠা, দুধচিতই, বিবিখানা, চুটকি, চাপড়ি, ক্ষীরকুলি, গোকুল, গোলাপ ফুল পিঠা, লবঙ্গলতিকা, রসফুল, জামদানি, ঝালপোয়া, ঝিনুক, নকশি, চাঁদ পাকান, ছিট, সুন্দরী পাকান, সরভাজা, পাকান, পানতোয়া, মালপোয়া, মালাই, মুঠিপিঠাসহ নানা স্বাদ ও গন্ধের বাহারি পিঠার সমারোহ ঘটেছিল মেলায়।

কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রোকসানা পারভীন বলেন, শিক্ষার্থীরা পিঠা বানিয়ে সেগুলোর সুন্দর সুন্দর নামও দিয়েছে। আমরা প্রমাণ করতে পেরেছি আমাদের শিক্ষার্থীরা শুধু পড়াশোনাতেই এগিয়ে নয়, তারা সব কাজেই পারদর্শী। বাংলা বিভাগের প্রভাষক মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে লালন করাই আমাদের কাম্য। আমাদের শিক্ষার্থীরা উচ্ছ্বাসের সঙ্গে পিঠা উৎসব করছে, এটা আমাদের কাছেও আনন্দের। শিক্ষার্থী শিহাব হাসান, এনামুল হক বিজয়, নাজনীন তাহুরা, উম্মে হাবিবা মজুমদার, নাজমুল হাসান জানান, পিঠা উৎসব উদযাপন করতে আমরা তিন দিন ধরে কাজ করছি। রাত জেগে পিঠা বানিয়ে আর স্টল বানিয়ে আমরা উৎসবে নতুনত্ব দেওয়ার চেষ্টা করেছি।